শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে করোনার টিকা নিতে আসা আওয়ামী লীগ নেতাকে লাইনে দাঁড়াতে বলায় স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজনেই আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আতিউর রহমান এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে এই ঘটনা ঘটে। আহত দুজনই হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ সময় কিছুক্ষণের জন্য টিকা কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ নেতা আতিউর রহমানের করোনা টিকা নেওয়ার নির্ধারিত তারিখ ছিল। দুপুর ১২টার দিকে তিনি টিকা নেওয়ার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকাকেন্দ্রে আসেন। এ সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিএইচসিপি মোস্তাফিজুর রহমান আতিউরকে লাইনে দাঁড়ানোর কথা বলেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে প্রথমে বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে দুজনই আহত হন। খবর পেয়ে ঝিনাইগাতী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং টিকা প্রদান কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়।
এ ঘটনায় দুজনেই আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় কিছুক্ষণের জন্য টিকা কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
আতিউর রহমান অভিযোগ করেন, স্বাস্থ্যকর্মী মোস্তাফিজুর রহমান কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে তাঁকে কিল-ঘুষি মেরে জখম করেন। অপর দিকে মোস্তাফিজুর অভিযোগ করেন, টিকা দেওয়ার জন্য অনেক মানুষ কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন। তাই নিয়ম মেনে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা গ্রহণের জন্য তিনি আতিউর রহমানকে অনুরোধ করেন। এতে উত্তেজিত হয়ে তিনি তাঁর ওপর আক্রমণ করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন আওয়ামী লীগ নেতা ও স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনার কথা স্বীকার করেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপসের জন্য বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।