গত দুইদিন ধরে আবারও ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহে অতিরিক্ত গরমের পর হঠাৎ আবহওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে। চলতি মাসে দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোতে স্বাভাবিক প্রবাহ থাকতে পারে। তবে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল (রংপুর অঞ্চল), উত্তর-পূর্বাঞ্চল (সিলেট অঞ্চল) ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের (চট্টগ্রাম অঞ্চল) কিছু কিছু স্থানে স্বল্পমেয়াদি আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলেও শঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি। আবহাওয়া অধিদপ্তর সেপ্টেম্বর মাসের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে দীর্ঘ মেয়াদী পূর্বাভাস প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
একইসঙ্গে চলতি অক্টোবর মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত, সাথে ঘূর্ণিঝড় হতে পারে বলে জানানো হয়েছে পূর্বাভাস প্রতিবেদনে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এ মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। অক্টোবরের দ্বিতীয়ার্ধের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু (বর্ষা) বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিতে পারে। এ মাসে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ২ থেকে ৩ দিন বিজলি চমকানোসহ মাঝারি ধরনের বজ্রঝড় এবং সারাদেশে ৩ থেকে ৪ দিন বিজলি চমকানোসহ হালকা বজ্রঝড় হতে পারে। এ মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকতে পারে।
পূর্বাভাস প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসে সার্বিকভাবে সারাদেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হয়েছে, তবে রংপুর বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে কম এবং চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
সেপ্টেম্বরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। এছাড়া গত দুইদিন ধরে সিলেটে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে থেমে থেমে। বৃষ্টি বাড়তেই নদ নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। অস্বাভাবিক হারে বৃষ্টি বাড়লে ফের সিলেটে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।