প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আগামী ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজার সফরে আসছেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন। এ নিয়ে কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের একটি বিজ্ঞপ্তি সমালোচনার ঝড় তুলেছে।
সোমবার জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে তিনি শিক্ষার্থীদের জনসভায় যোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
জানা যায়, সাড়ে ৫ বছরের বেশি সময় পর প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। নেতাদের দাবি, শেখ কামাল স্টেডিয়ামে এই সমাবেশে ৫ লাখ লোকের সমাগমের প্রস্তুতি রয়েছে তাদের।
কলেজের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার কক্সবাজার আগমন উপলক্ষে শেখ কামাল স্টেডিয়ামে ৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় জনসভায় অংশগ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হল। তবে জনসভায় কোনো প্রকার ব্যাগ, ধাতব বস্তু, মোবাইল ফোন ইত্যাদি বহন করা যাবে না।'
এ বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশের পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। কলেজের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়।
একজন আইনজীবী কলেজ অধ্যক্ষকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, সরকার আপনাকে এই নির্দেশ দিয়েছেন বলে মনে হয় না। নিজের প্রমোশনের জন্য এ জাতীয় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ছেলেদের হয়রানি করার অধিকার সরকারি চাকরিজীবি হিসাবে আপনার আছে কিনা!'
অভিভাবকরা জানান, কক্সবাজার সরকারি কলেজে ৭ ডিসেম্বর যেসব পরীক্ষা ছিল, সেগুলোর তারিখ পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। এতে আমরা নানা সমস্যায় পড়েছি।
অভিযুক্ত কলেজ অধ্যক্ষবলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রশাসনিক প্রধান। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতেই পারি। এখানেও একটা শিক্ষার বিষয় রয়েছে।
প্রসঙ্গত, আগামী ৭ ডিসেম্বর সকালে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের ইনানি সৈকতে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নৌশক্তি প্রদর্শন মহড়া উদ্বোধন করবেন। এরপর বেলা ২টার দিকে ওই জনসভায় ভাষণ দেবেন।