সোমবার থেকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (মিটফোর্ড) করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণ টেস্ট ও চিকিৎসাসেবা শুরু হয়েছে। ডিপ্লোম্যাটিক ও ডক্টরস্দের আইসোলেশনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে ৮টি ক্যাবিনে ১৩টি বেড। মিটফোর্ড হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের জন্য ১শ বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ দুটি হাসপাতালই এখন করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা প্রদানের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে বলে মন্তব্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
মিটফোর্ড হাসপাতালে ফ্লু ক্লিনিকের মাধ্যমে করোনা শনাক্তকরণ পদ্ধতি শুরু হয়েছে। শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও গলাব্যথা নিয়ে কোনো রোগী এখানে আসলে তাদের আইডিসিআর এর মাধ্যমে স্যাম্পল কালেকশন করা হচ্ছে। যদি কারও মধ্যে করোনার উপসর্গগুলো ব্যাপকভাবে দেখা যায় তাদের হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হবে। ইতোমধ্যে ১১ জনের স্যাম্পল কালেকশন করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকেরই করোনা নেগেটিভ এসেছে। পরবর্তী সময়ে যদি কারও মধ্যে করোনা পজিটিভ আসে তাহলে মিটফোর্ড হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালে ১শ টি বেডের চিকিৎসাসেবা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এছাড়া কোনো ডিপ্লোম্যাটিক (কূটনৈতিক) বা হাসপাতালের কোনো ডাক্তার যদি আক্রান্ত হয় তাদের জন্য ৮টি ক্যাবিনে মোট ১৩টি বেড রাখা হয়েছে। ক্যাবিনগুলোতে অত্যাধুনিক সব চিকিৎসা সরঞ্জাম বসানো হয়েছে। আজ থেকে করোনা মোকাবেলায় হাসপাতাল দুটি সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানালেন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের ডিরেক্টর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মো. রশিদ-উন-নবী।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর হাসপাতালের রেসিডেন্ট ফিজিশিয়ান ডা. মো. আশরাফুল হাসান বলেন, ঢাকা মহানগর হাসপাতালের সার্বিক প্রস্তুতি থাকলেও স্যাম্পল কালেকশন করে পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা নেই। আপাতত মিটফোর্ড হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে থেকে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টরা কাজ শিখবে। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় মিটফোর্ড হাসপাতালের অধীনে থেকে সরকারি বাজেট থেকে যা আসছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট।