আজ ভয়াল সেই ২৯ এপ্রিল। ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে প্রলয়ঙ্করী ঘুর্ণিঝড়ের আঘাতে দক্ষিণ চট্টগ্রামের উপকুলীয় অঞ্চল লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এই দিনটির কথা আজো ভুলেনি দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, চন্দনাইশ ও আনোয়ারার মানুষ।
তবে সেই ঘূর্ণিঝড়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা আনোয়ারা ও বাঁশখালীকে। দিনটি আসলে এ দু’ উপজেলার উপকূলীয়বাসীরা আতঙ্কগ্রস্ত থাকে।
ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াল তাণ্ডবে এ দু’ উপজেলার অর্ধলক্ষাধিক মানুষের প্রাণহাণি ঘটে। ২০০ থেকে ২৫০ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসের কারণে উপকূলীয় এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল ২০ থেকে ২৫ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ ঘরবাড়ি, অসংখ্যা গবাদি পশু ও গাছ-পালা ধ্বংস হয়। গাছের ডালে, ঘরের চালে, খাল ও বিলে, নদীতে ও সাগরে ছিল শুধু লাশ আর লাশ।
প্রতি বছর ২৯ এপ্রিল এলে এ দু’ উপজেলার ছয় লক্ষাধিক মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে; কখন আবার ঘূর্ণিঝড়ে তাদের লণ্ডভণ্ড করে দেয়।
এদিকে ভয়াল সেই ২৯ এপ্রিলের কথা স্মরণ করে নানান কর্মসূচি পালন করে দক্ষিণ চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।