বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ডিগ্রি স্তরে গভর্নিংবডির নিয়োগ দেয়া ৭২৬ জন তৃতীয় শিক্ষককে এমপিওভুক্তির নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এই শিক্ষকরা ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিয়োগ পেয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) মাউশি অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে শিক্ষকদের তালিকাসহ এমপিওভুক্তির নির্দেশ সংক্রান্ত এক চিঠি প্রকাশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১৩ মার্চের চিঠি অনুযায়ী ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ডিগ্রি স্তরে গভর্নিংবডির নিয়োগ দেয়া তৃতীয় শিক্ষকদের শর্ত পূরণ সাপেক্ষে এমপিওভুক্ত করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।
এই শর্তগুলো হলো:
১. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ডিগ্রি স্তর এমপিওভুক্ত থাকতে হবে।
২. নীতিমালা অনুযায়ী তৃতীয় শিক্ষকের নিয়োগকালীন কাম্য যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং বিধিমোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে কর্মরত থাকতে হবে।
৩. মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ১ এপ্রিল জারি করা পরিপত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যানবেইসে অনলাইনে সংগৃহীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ডাটাবেইসে সংরক্ষিত তথ্যের সঙ্গে অবশ্যই তুলনামূলক যাচাই করতে হবে, ডাটাবেইসে তথা যথাযথ না থাকলে কোনো তৃতীয় শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করা যাবে না।
৪. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ অক্টোবরের চিঠির নির্দেশনা অনুযায়ী ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করতে হবে।
৫. তৃতীয় শিক্ষক নিয়োগ করা হয়নি এমন প্রতিষ্ঠানে নতুনভাবে কোনো তৃতীয় শিক্ষক নিয়োগ করা যাবে না।
৬. নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানে বিষয়ভিত্তিক কাম্য শিক্ষার্থী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি তথ্য অনুযায়ী থাকতে হবে। তবে বর্তমানে কাম্য শিক্ষার্থী না থাকা কোনো শিক্ষক এমপিওভুক্ত হতে না পারলে পরবর্তীতে কাম্য শিক্ষার্থী পূরণ হলে মন্ত্রণালয়ের অনুমতিক্রমে এমপিওভুক্ত হতে পারবেন।
৭. নীতিমালা অনুযায়ী যোগ্য তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির পর, এই এমপিওপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নাম, পদবী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম ও শিক্ষার্থীর সংখ্যাসহ প্রতিবেদন আগামী ৬ মাসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।
৮. প্রতিষ্ঠানে কাম্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা (বিষয় ভিত্তিক) যথাযথ থাকতে হবে। তা না হলে ব্যক্তি এমপিওপ্রাপ্ত হবে না।
এ ছাড়াও জুলাই মাসের বিশেষ এমপিও কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ১৩ মার্চের চিঠির নির্দেশনা অনুযায়ী ৭২৬ জন ৩য় শিক্ষকের প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র যাচাই সাপেক্ষে যোগ্য ডিগ্রি স্তরে গভর্নিংবডির নিয়োগ দেয়া তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির জন্য সব আঞ্চলিক পরিচালককে চিঠি দেয়া হয়েছে।
২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ডিগ্রি স্তরে গভর্নিংবডির নিয়োগ দেয়া অবশিষ্ট কত জনকে কী কারণে তৃতীয় শিক্ষক হিসেবে এমপিওভুক্তির জন্য বিবেচনা করা যায়নি, তার সুস্পষ্ট কারণ মন্তব্যে উল্লেখসহ তালিকা পাঠানোর জন্য সব আঞ্চলিক পরিচালকের কার্যালয়কে নির্দেশনা দেয়া এবং আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে পাওয়া তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংযুক্ত তালিকা অনুযায়ী ৩য় শিক্ষকের সব কাগজপত্র যাচাই সাপেক্ষে যোগ্য ডিগ্রি স্তরে গভর্নিংবডির নিয়োগ দেয়া তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সব অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা পরিচালকে বলা হয়।
প্রসঙ্গত, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমালা অনুযায়ী ডিগ্রি স্তরে একটি বিষয় পড়ানোর জন্য একটি কলেজে তিনজন শিক্ষক নিয়োগ দিতে হয়। কিন্তু এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো অনুযায়ী কলেজে দুই জন শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করা যায়। ফলে ৩ জনকে নিয়োগ দিলেও একজন এমপিওভুক্তির বাইরে থেকে যান। কলেজগুলোতে ওই শিক্ষককে ‘তৃতীয় শিক্ষক’ বলা হয়। এমপিওভুক্ত হতে তৃতীয় শিক্ষকেরা উচ্চ আদালতে গেলে আদালত তাদের পক্ষে আদেশ দেয়। এর পর থেকে এসব শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করা শুরু হয়।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।