জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮তম ব্যাচের গণিত বিভাগে ভর্তি হয়েছেন লক্ষীপুরের সাফায়াত। আজই ছিলো তার ওরিয়েন্টেশন ক্লাস। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম ক্লাস করে উচ্ছ্বসিত সাফায়াত। প্রথম দিনের স্মৃতি সম্পর্কে সাফায়াত বলেন, আমার বাবাও তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের ছাত্র ছিলেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে আমার আনন্দ তাই একটু বেশিই। ওরিয়েন্টেশন ক্লাসে শিক্ষকরা উপদেশমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। পুরো ক্যাম্পাস ঘুরে ঘুরে দেখলাম। আমি খুবই উৎফুল্ল।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হয়েছে রোববার। নতুন শিক্ষার্থীদের আনাগোনায় মুখরিত হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। হাতে ফুল ও মুখে হাসি নিয়েই ক্যাম্পাসে নতুন শিক্ষার্থীদের বিচরণ। কেউ কেউ এসেছেন একাই, আবার কারো সঙ্গে এসেছেন বাবা-মা অথবা বড় ভাই। দেশের সব প্রান্ত থেকেই ভর্তি হয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
গাইবান্ধার ঐশি দাস ভর্তি হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগে। বাবা বিধান চন্দ্র দাসের সঙ্গে এসেছেন ক্যাম্পাসে। মেয়ের সঙ্গে আজই প্রথম এসেছেন জবি ক্যাম্পাসে। বিধান চন্দ্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমি নিজে পড়াশোনা করতে পারিনি। কিন্ত আমার মেয়েকে পড়াশোনা করানোর ইচ্ছা ছিলো। আজ ওর সঙ্গে ওর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি। ওর সাফল্যে আমি গর্বিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসও সুন্দর। সবকিছু ভালো লেগেছে।
সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হয়েছেন সানজিদা পারভীন। রোববার ওরিয়েন্টেশন ক্লাস হওয়াই আগের দিনই ঢাকায় এসেছলেন তিনি। প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে সানজিদা জানান, প্রথম দিন এসে ভালোই লেগেছে। প্রথমে অনেক নার্ভাস ছিলাম। কিন্ত শিক্ষকরা, সিনিয়রা অনেক ফ্রেন্ডলি আমাদের সাথে কথা বলেছেন। আমাদের নার্ভাসনেস দূর হয়ে গিয়েছে। সবাই অনেক সাবলীলভাবে আমাদের সঙ্গে মিসেছে। বেশ সুন্দর একটা ওরিয়েন্টেশন ক্লাস হয়েছে।
র্যাগিংয়ের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্সে অবস্থান। প্রক্টরিয়াল বডি এ বিষয়ে তৎপর রয়েছে।
এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্ত্বর, শহীদ মিনার চত্ত্বর, কাঠাল তলা, টিএসসি, সায়েন্স ফ্যাকাল্টি নতুনদের আগমনে মুখরিত ছিলো। নতুনদের ফুল, ফাইল ও মিষ্টি দিয়ে নতুনদের বরণে কোনো কমতি ছিলো না বিভাগগুলোর।