মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে যে আতঙ্ক ছিল, তার প্রতিবাদে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেছেন, এটি অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ার বার্তা দিয়ে থাকে। যে আতঙ্ক ছিলো, সেটির প্রতিবাদে সব মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে। সব ধরনের উগ্রবাদীতা, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে এটি একটি প্রতিবাদ।
শুক্রবার নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
উপাচার্য বলেন, এই মঙ্গল শোভাযাত্রা আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এখন এটি ওয়ার্ল্ড মেমোরি অব হেরিটেজের অন্তর্ভুক্ত। ফলে এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং বিশ্বের প্রতিটি জনগোষ্ঠীর কাছে একটি অসাধারণ সম্পদ। সেটি সংরক্ষণ ও সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, অতীতের গ্লানি, দুঃখ, জরা মুছে অসুন্দর ও অশুভকে পেছনে ফেলে নতুন কেতন উড়িয়ে বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ সকলের জীবনে আরও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে। তথ্য-প্রযুক্তি ও জ্ঞান নির্ভর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ সব ক্ষেত্রে নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশ নবউদ্যোমে এগিয়ে যাবে।
ড. মো. আখতারুজ্জামান আরো বলেন, এই মঙ্গল শোভাযাত্রা অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। এই মঙ্গল শোভাযাত্রা অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ার বার্তা দেয়। মঙ্গল শোভাযাত্রার চেতনা ও মূল্যবোধ সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সমন্বিতভাবে কাজ করার জন্য উপাচার্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
শোভাযাত্রায় অন্যান্যদের মধ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমানসহ বিপুল সংখ্যক শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং সর্বসাধারণ অংশগ্রহণ করেন।