যশোরের মণিরামপুরে আততায়ীর গুলিতে উদয় বিশ্বাস (৪৮) নামে এক কলেজশিক্ষক নিহত হয়েছেন। নিহত উদয় নেহালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের সংস্কৃত বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক। তিনি টেকারঘাট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং নেহালপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। এছাড়া তিনি পাঁচাকড়ি গ্রামের মৃত. রনজিত বিশ্বাসের ছেলে। সোমবার সকালে উপজেলার পাঁচাকড়ি গ্রামের বৈকালী সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টেকারঘাট বাজারে প্রতিদিন মতো সকালে বাজার বসে। সোমবার ভোরে উদয় ওই বাজারে মাছ কিনতে যান। মাছ কিনে সকাল ৭টার দিকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে নওয়াপাড়া-কালীবাড়ি সড়কে বৈকালী মোড়ে পৌঁছালে ওৎপেতে থাকা দুইজন দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। পরে তাকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পাচাঁকড়ি গ্রামের বৈকালী মোড়ের চায়ের দোকানদার বাসুদেব চক্রবর্তী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, মোটরসাইকেল যোগে অজ্ঞাত দুই আমার দোকানে আসেন। একজনের মাথায় হেলমেট পরিহিত ছিলো এবং অপরজন ছিলেন খালি মাথায়। তবে তাদেরকে আগে কখনো এই এলাকাতে দেখিনি।
তিনি আরো জানান, সকাল ৬টা ৫০ মিনিটের দিকে উদয় বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে পাকা সড়ক ধরে বাড়িতে যাওয়ার সময় তাকে পেছন দিক থেকে গুলি করা হয়েছে। গুলি শব্দ শুনে এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে মোটরসাইকেলে করে দুইজন পালিয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি পাঁচাকড়ি টেকারঘাট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন উদয় বিশ্বাস। নির্বাচনের দুই মাসের মাথায় ওই বিদ্যালয়ে তিনটি কর্মচারী পদে নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। কমিটি গঠন এবং নিয়োগ সংক্লান্ত বিষয়টি এলাকায় একটি মহলের সঙ্গে তার বিরোধ চলছিল বলে স্থানীয়দের দাবি।
এদিকে মণিরামপুর থানার ওসি শেখ মনিরুজ্জামান হত্যাকান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন হত্যাকান্ডের কারণ উৎঘাটন এবং ঘাতদের আটকের ব্যাপারে তৎপর রয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সহকারী পুলিশ সুপার (মণিরামপুর) আশেক সুজা মামুন বলেন, উদয় হত্যাকান্ডের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।