মুজিববর্ষের শুরুতেই সরকারিকৃত কলেজের সব শিক্ষক-কর্মচারিদের প্রমার্জনাপূর্বক আত্তীকরণ ও এডহক নিয়োগের দাবিতে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদের (বাসকশিপ) খাগড়াছড়ি জেলা কমিটি পাহাড়ি শিক্ষকবৃন্দ।
সোমবার (২৪ ফেব্রয়ারি) খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি রত্ন কুমার চাকমার নেতৃত্বে শিক্ষকরা জেলা প্রশাসকের হাতে স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপিতে বলা হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে নতুন করে ৩০২টি সরকারি কলেজ উপহার দিয়েছেন। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও তৎকালীন 'নো বিসিএস নো ক্যাডার' আন্দোলনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের আত্তীকরণের কাজের দায়িত্ব দেওয়ায় আজ শিক্ষক-কর্মচারীদের বহু কাঙ্খিত পদসৃজন ও আত্তীকরণের কাজ আটকে রয়েছে।
বর্তমান ৩০২টি কলেজের ১টি কলেজের শিক্ষকদের ও পদসৃজন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়নি।এসকল প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষক কর্মচারিদের মধ্য থেকে ইতোমধ্যে প্রায় তিন হাজার শিক্ষক কর্মচারি সরকারিকরণের সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত হয়ে শুন্য হাতে অবসরে চলে গিয়েছেন।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও প্রতিটি শিক্ষক কর্মচারীদের কাগজ পত্র বার বার যাছাই ও অযাচিত কমেন্ট এর নামে পদসৃজনের কাজের গতিকে বিলম্বিত করা হচ্ছে।
এমতাবস্থায় নিয়োগ কর্তৃপক্ষের ভুলের কারনে বিপুল সংখ্যক শিক্ষক কর্মচারি আত্তীকরণের বাইরে থেকে গেলে তাদের পক্ষে বয়সের কারনে নতুন চাকরিতে যোগদান করা এবং আত্মমর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকা তো দূরের কথা পরিবার,পরিজন ও সমাজের কাছে মুখ দেখানোই বিরাট লজ্জ্বার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য পদ-সৃজন ও কাগজপত্র যাচাই বাছাই প্রক্রিয়াকে অধিকতর সহজীকরণ ও শিক্ষক বান্ধব করে এবং শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার ভুল ত্রুটি গুলো যথাসম্ভব ক্ষমাসুন্দর ও মার্জনার দৃষ্টিতে দেখে এসকল কলেজের নিয়োগপত্র হাতে পাওয়া প্রত্যেক শিক্ষক কর্মচারিকে মুজিববর্ষের প্রারম্ভেই পদসৃজন ও এডহক নিয়োগের বিষয়ে 'মাদার অব এডুকেশন',ডটার অব পিস,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,জননেত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এসময় সভাপতি রত্ন কুসুম চাকমার নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন,সহ সভাপতি আবুল হোসেন পাটোয়ারী, সহ সাধারণ সম্পাদক মধুসূদন দত্ত,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল পাল.,দপ্তর সম্পাদক নিংথোয়াই মারমা, সদস্য উত্তরা চাকমা, মো. হানিফ,কেন্দ্রীয় সহ মহিলা সম্পাদক পাইমরা চং মারমা কমিটির সদস্য কামরুল হাসান ও অর্জুন নাথ, বিভাগীয় সহ সাধারণ সম্পাদক টিপু লাল নাথ।