ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে অচলাবস্থা নিরসনে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উপাচার্য বরাবর আবেদন করেছেন তিনি। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) তিনি এ আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৮ জুলাই ইনস্টিটিউটের ৪টি ভাষার অনার্স প্রোগ্রামের ছাত্রছাত্রীরা সব শিক্ষকদের কাছে ৬টি দফা সম্বলিত একটি বিবৃতি আসে, যার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সকলকে পদত্যাগসহ দলীয় রাজনীতি বন্ধ এবং এই দুঃসময়ে শিক্ষার্থীদের পাশে না দাঁড়ানোর অভিযোগে শিক্ষকদের অনুশোচনামূলক বিবৃতি না দেয়া পর্যন্ত ক্লাস বর্জনসহ কিছু যৌক্তিক দাবি উত্থাপন করা হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ইনস্টিটিউটের সব শিক্ষক ৪ আগস্ট শিক্ষার্থীদের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতার আশ্বাস জানিয়ে একটি বিবৃতি দেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক, এর পরেও আরো কিছু বিবৃতি ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে আসে এবং এর ধারাবাহিকতায় ১৪ আগস্ট পরিচালকের পদত্যাগ, আন্দোলনকালীন সময়ে শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের পক্ষ না নেয়ায় ক্ষমা প্রার্থনা ও শিক্ষকদের কাছে মুচলেকা দাবি করা হয়।
পরিচালক আবেদনে উল্লেখ করেন, দুঃখজনকভাবে এই বিবৃতিতে আমার বিরুদ্ধে কিছু বস্তুনিষ্ঠতাহীন মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। বিবৃতির মূল অভিযোগ অনুযায়ী, ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চলাকালীন কিছু শিক্ষার্থী ইনস্টিটিউটে অবস্থান নিলে, তাদেরকে আমি বের করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি বলে দাবি করা হয়, যা কি না পুরোপুরি অসত্য।
অপর এক সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, কিছু শিক্ষার্থী ভিসি কাছে পরিচালকের পদত্যাগ দাবি করলে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন ভিসি। কিন্তু তারপরও কিছু শিক্ষার্থী কর্তৃপক্ষের আশ্বাস উপেক্ষা করে পরিচালকের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে। এমন ৪ সেপ্টেম্বর (বুধবার) ক্যাম্পাসে পরিচালকের বাসভবন ঘেরাও করে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করেন। পরিবারসহ পরিচালক জীবন বিপন্ন মনে করছেন।
একটি অনুসন্ধান কমিটির মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করা জরুরি মনে করেন পরিচালক ড. সাইদুর রহমান।