আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনসহ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা কয়েকদফা দাবি জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজের সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
কলেজের অধ্যক্ষ ও বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক মো. হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা ইউনিট কমিটির সদস্য আবদুস সোবহান বাবুল।
এ সময় নড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাকসুদা খাতুন, সরকারি গোলাম হায়দার খান মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ওয়াজেদ কামালসহ জেলার চারটি সরকারি কলেজের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, অন্যান্য ক্যাডারের তুলনায় শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা পিছিয়ে আছেন। বেতন স্কেল অনুযায়ী চতুর্থ ও ষষ্ঠ গ্রেড প্রাপ্য কর্মকর্তাদের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে এক বছর আগে। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি নেই। শিক্ষক ও শিক্ষা দপ্তরসমূহে জনবলের ঘাটতি রয়েছে। তাই মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষার্থী অনুপাতে শিক্ষকদের পদ সৃজন অপরিহার্য। অধ্যাপক পদটি তৃতীয় গ্রেডে উন্নীত করা এবং আনুপাতিক হারে প্রথম ও দ্বিতীয় গ্রেডের পদ সৃষ্টি করা জরুরি। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের নতুন পে-স্কেলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ক্যাডার হচ্ছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা।
তারা জানান, ন্যায্য অধিকার আদায় না হলে আগামীতে কঠিন কর্মসূচীর ঘোষণা দেওয়া হবে।
এ ছাড়া দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ২ অক্টোবর সারা দেশে এক দিনের কর্মবিরতি পালনসহ দাবি পূরণে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে আগামী ১০, ১১ ও ১২ অক্টোবর টানা তিন দিনের কর্মবিরতি পালন করার ঘোষণা দেন সমিতির নেতারা।