আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবি

আমাদের বার্তা, বরিশাল |

ক্যাডার যার মন্ত্রণালয় তার, উপসচিব পদে বিদ্যমান কোটা বিলোপ ও সব ক্যাডারের মধ্যে সমতার বিধানসহ আট দফা দাবি জানিয়েছে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ বরিশাল জেলা শাখার কর্মকর্তারা।

শনিবার বরিশাল প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব দাবিনামা উপস্থাপন করেন।

পরিষদের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বরিশাল জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক মোহাম্মদ ওমর ফারুক দেওয়ান পরিষদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে সভাপতিত্ব করেন প্রফেসর মো. সোহরাব হোসেন হাওলাদার। অন্যান্য কর্মকর্তাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষি ক্যাডারের মো. খায়রুল ইসলাম মল্লিক, শিক্ষা ক্যাডারের মো. মাসুম বিল্লাহ, স্বাস্থ্য ক্যাডারের মো. মাজহারুল রেজোয়ান, সমবায় ক্যাডারের মো. মোস্তফা, তথ্য বেতার ক্যাডারের মো. জাহিদ হোসেন। সভায় বিভিন্ন ক্যাডারের শতাধিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

আট দফা দাবিনামার প্রথম দফায় বলা হয়, দক্ষ, প্রফেসনাল, আধুনিক ও সময়োপযুগী সেবা ব্যবস্থা চালু করে জনগণের কাংখিত সেবা নিশ্চিত করতে ‘ক্যাডার যার মন্ত্রণালয় তার’-এই ফরমুলায় জনপ্রশাসন তথা জনসেবা ব্যবস্থাপনা পুনর্গঠন করতে হবে। দ্বিতীয় দফায় বলা হয়, মেধাভিত্তিক, বৈষম্যহীন ও কোটামুক্ত সরকার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে উপসচিব ও তদোর্ধ পদকে ক্যাডার বহির্ভূত পদ ঘোষণা করে সকল ক্যাডার থেকে উন্মুক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দিতে হবে। অর্থাৎ ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দের সিনিয়র সার্ভিস পুল (এসএসপি) পদ্ধতি চালু করতে হবে। তৃতীয় দফায় কর্মকর্তারা সকল ক্যাডারের মধ্যে পদোন্নতি, গ্রেড, প্রিভিলেজ, ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্ট ইত্যাদি বিষয়ে সমতার নীতি অবলম্বন করে সকল ক্যাডারের মধ্যে ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতির দাবি করেন। 

আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সুপারিশের ভিত্তিতে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনে নতুন করে তিনজন সদস্য নেয়া হলেও তারা চতুর্থ দফায় বৃহত্তর সব ক্যাডারের প্রতিনিধিত্ব দাবি করেন। কমিশনের অফিস সচিবালয়ে থাকায় কমিশন সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের প্রতিবন্ধকতার কথা উল্লেখ করে তা বাইরে স্থানান্তরের দাবি করেন পঞ্চম দফায়। প্রস্তাবনার ষষ্ঠ দফায় জনপ্রশাসন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ একজন বুদ্ধিজীবীকে কমিশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করার দাবি করেন তারা। সপ্তম দফায় ‘জনপ্রশাসন’ শব্দ বাতিল করে ‘জনসেবা’ বা ‘জন ব্যবস্থাপনা অথবা উপযুক্ত শব্দ গ্রহণ করে সিভিল সার্ভিসকে জনগণের সেবক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার দাবি করেন। অষ্টম দফায় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনকে প্রত্যেক ক্যাডার থেকে সংস্কারের প্রস্তাব গ্রহণ করার দাবি করেন।

২৩টি ক্যাডারে গ্রেড-১ পদে কোন কর্মকর্তা নেই। তথাকথিত ফিডারের নামে সকল ক্যাডারে পদোন্নতি আটকে রাখা হয়েছে। কিন্তু এমন অনেক কর্মকর্তা আছেন যাদের চাকরি ২৫ বছরের উর্ধ্বে এমন কি ৩০ বছরও হয়েছে। তাই ফিডার পূর্ণতার নামে কর্মকর্তার পদোন্নতি আটকে রাখার চক্রান্ত পরিহার করার আহ্বান জানান কর্মকর্তারা। তারা বলেন, আন্তঃক্যাডার বৈষম্য পরিষদ দেশের ২৬টি ক্যাডারের মধ্যে ২৫টি ক্যাডারকে প্রতিনিধিত্ব করে। প্রায় ৬০ হাজার কর্মকর্তার মধ্যে ২৫টি ক্যাডারে প্রায় ৫৩ হাজার কর্মকর্তা চাকরি করে। দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি, জনসেবা, অবকাঠামো নির্মাণ, রাজস্ব আদায় এই ২৫টি ক্যাডারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। তাই ২৫টি ক্যাডারকে পাশ কাটিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার সম্ভব নয়। সিভিল সার্ভিসে সকল বৈষম্য দূর করে জনকল্যাণমুখী সেবা ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা করতে তাই সব ক্যাডারের সঙ্গে মতবিনিময় করে সুপারিশ গ্রহণের জন্য কমিশন সদস্যদের আহ্বান জানান।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার তারিখ - dainik shiksha মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার তারিখ শিক্ষার্থীদের ব্র্যান্ডিং প্রোডাক্ট হিসেবে গড়ে তোলার তাগিদ - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের ব্র্যান্ডিং প্রোডাক্ট হিসেবে গড়ে তোলার তাগিদ মাদরাসার এমপিও নীতিমালা সংশোধনের দাবি - dainik shiksha মাদরাসার এমপিও নীতিমালা সংশোধনের দাবি তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ে ভাসানীর জীবনী অন্তর্ভুক্তির দাবি - dainik shiksha পাঠ্যবইয়ে ভাসানীর জীবনী অন্তর্ভুক্তির দাবি পাঠ্যবইয়ে ভাসানীর জীবনী অন্তর্ভুক্তির দাবি - dainik shiksha পাঠ্যবইয়ে ভাসানীর জীবনী অন্তর্ভুক্তির দাবি কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0023379325866699