মাসিক ভাতা বৃদ্ধি, বকেয়া ভাতা পরিশোধ এবং ভাতা নিয়মিত দেয়ার দাবিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য (ভিসি) মো. শারফুদ্দিন আহমেদের কার্যালয় ঘিরে রাখা পোস্ট গ্রাজুয়েট প্রাইভেট প্রশিক্ষণার্থী পাঁচ শতাধিক চিকিৎসককে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় তাদের সরিয়ে দেয়া হয়। এরপর সংবাদ সম্মেলন করেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য।
বিএসএমএমইউ’র মিল্টন হলে সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ আন্দোলনরত চিকিৎসকদের দেশবিরোধী ও জামায়াত শিবির বলে উল্লেখ করেন।
ভিসি বলেন, ‘ট্যাক্নোলজিস্ট, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা- আজ আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে এসেছি। আমি বলে দিতে চাই, কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না। আজকে বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন হচ্ছে। সবাই মিলে মোকাবিলা করব।’
তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলন জামায়াত-শিবিরের লোকেরা করেছে। এই জামায়াত-বিএনপির ক্ষপ্পরে আমাদের লোকরাও থাকতে পারে।’
এ সময় তার পক্ষে আন্দোলনকারীদের ধন্যবাদ জানান উপাচার্য।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ব্লকের সামনে জড়ো হতে থাকেন চিকিৎসকরা। এরপর সাড়ে ১১টার দিকে বিএসএমএমইউ উপাচার্যের কার্যালয় ভবনের নিচে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।
এ সময় তারা ৫০ হাজার টাকা ভাতাসহ তিন দফা দাবিতে স্লোগান দেন। তারা বলেন, বর্তমান বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মাসিক ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে।
তারা জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে তিনটি নন-রেসিডেন্স কোর্স রয়েছে। সেগুলো হলো এমফিল, ডিপ্লোমা ও এমপিএইচ কোর্স। এসব কোর্সে সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল থেকে এমবিবিএস পাস করা পাঁচ শতাধিক চিকিৎসক ৯ মাস ধরে কোনো ভাতা পাচ্ছেন না।