কুড়িগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এক শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ জাফর আলীর ছেলে জাহিদুল ইসলাম ওরফে সবুজকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৩। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রংপুর শহর থেকে তাঁকে গ্রেফতারের পর কুড়িগ্রাম সদর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গ্রেফতার জাহিদুলের বাড়ি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নে। তিনি কুড়িগ্রাম খাদ্য অধিদপ্তরের খাদ্য পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট কুড়িগ্রাম সদরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মিছিলে হামলায় আহত হন আশিকুর রহমান ও তাঁর ছোট ভাই আতিকুর রহমান। মাথায় আঘাত পেয়ে আশিকুর উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের সাতভিটা গ্রামে নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে গত ১৮ আগস্ট তাঁকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হলে গত ১ সেপ্টেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়।
আশিকের মৃত্যুর ঘটনায় গত ১০ অক্টোবর কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী রুহুল আমিন বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় শিক্ষার্থী হত্যা, শিক্ষার্থীর ওপর হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে ১০৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ, জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক ফারুক, সাংবাদিক হুমায়ুন কবির ও ইউসুফ আলমগীর।
ওই মামলায় জাহিদুল ইসলামকে ৬ নম্বর আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল আলম বলেন, আজ বুধবার তাঁকে আদালতে তোলার কথা আছে।