নারায়ণগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পূর্নাঙ্গ তালিকা প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অভ্যুত্থানের এক মাস পরেও কেন প্রশাসন তালিকা তৈরি করতে পারেনি সেই বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এবং আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক মাসপূর্তি উপলক্ষে ‘শহীদী মার্চ’ কর্মসূচি পালনকালে এই দাবি জানানো হয়। পরে চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ‘শহীদদের’ স্মৃতিতে তাদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করা হয়।সেই সাথে একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, সাংবিধানিক সংস্কারের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সংস্কারের যাত্রা শুরু হওয়া দরকার। সেই যাত্রার জন্যই আমরা লড়াই করছি। আমরা আজকে শহীদী মার্চ ঘোষণা করেছি।
আমাদের সব আহত এবং শহীদ ভাই-বোনদের স্মরণে যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা আজকে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু করতে পেরেছি। আজ স্মরণে রাখতে চাই আমাদের সেই শহীদ সব ভাইদেরকে, যাদের রক্তের বিনিময়ে আজকে স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশ।
সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ফারহানা মানিক মুনা বলেন, ‘একমাস আগে একটা মরণপণ যুদ্ধ করে বন্দুকের সামনে লড়াই করে আমরা ছাত্ররা বাংলাদেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করেছি। এই একমাস পূর্তিতে আমরা আজ দাঁড়িয়ে স্মরণে রাখতে চাই আমাদের আহত সেই শহীদ সব ভাইদেরকে, সেই সব বোনদেরকে যাদের রক্তের বিনিময়ে যাদের বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আজকে স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে পৌঁছেছি।তাদের স্মরণেই আমরা কেন্দ্রীয় ঘোষণা অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জে শহীদি মার্চ পালন করছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বলতে চাই বাংলাদেশ এখন একটি সংস্কারের পথে হাঁটছে। নতুন বাংলাদেশকে আমরা নতুন আঙ্গিকে নতুন সংস্কার নিয়ে সাজাতে চাই। সেখানে নানা ধরনের সংস্কারের আলাপ হচ্ছে। কিন্তু আমরা মনে করি নতুন বাংলাদেশের সংস্কার সাংবিধানিক সংস্কার হওয়া উচিত।
আমরা জানি যে সংবিধানে ৫২ এবং ৭০ এর মতো অনুচ্ছেদ আছে সেই সংবিধান কখনই গণমানুষের সংবিধানে পরিণত হতে পারে না।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ সমন্বয়ক সাইদুর রহমান, রাইসা ইসলাম ও সারফারাস সজীবসহ জালকুড়ি, পাগলা, সোনারগাঁ, সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লা এবং সদরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।