আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে রাজধানীর আফতাবনগরে পশুরহাট বসানোর সিটি করপোরেশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এ আদেশের ফলে আফতাবনগরে বসছে না পশুরহাট।
সোমবার (৩ জুন) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ আদেশের পর আইনজীবীরা সাংবাদিকদের জানান, আবাসিক এলাকা বিবেচনায় আফতাবনগরে এ বছর পশুরহাট বসবে না বলে জানিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বুধবার (৮ মে) আফতাবনগরে পশুরহাট বসানোর ইজারার বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেন হাইকোর্ট। ফলে কোরবানির ঈদে সেখানে পশুরহাট বসছে না। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদেশের পরে আইনজীবীরা জানান, আফতাবনগর আবাসিক এলাকায় হওয়ায় আদালত এ আদেশ দিয়েছেন। ওইদিন আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক ও অ্যাডভোকেট এস এম শামীম হোসাইন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
এর আগে আফতাবনগরে হাট বসানোর সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ওই এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ঢালী।
গত ৪ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কাইজার মোহাম্মদ ফারাবী ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির পশুরহাট বসানোর জন্য ইজারার বিজ্ঞপ্তি দেন। ওই বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান ভূমি অফিসারসহ ৯ জনকে বিবাদী করা হয়।
স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) ২০০৯ আইনের ধারা ৩ (২) ও ১ম তফসিল অনুযায়ী আফতাবনগর (ইস্টার্ন হাউজিং) বাড্ডা থানার ৩৭নং ওয়ার্ড অধীন, যা ঢাকা নর্থ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অন্তর্ভুক্ত।
এদিকে আবার গত ৪ এপ্রিল প্রকাশ করা ইজারার কার্যক্রম বেআইনি বলে তা স্থগিত করার আর্জি জানানো হয়। ডাক ও রেজিস্ট্রার যোগে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ।
ওই নোটিশে বলা হয়, গরু-ছাগলের হাট বসানোর কারণে আবাসিক এলাকায় বসবাসের পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ছে। গরু-ছাগলের নানাবিধ বর্জ্যে এলাকাটির পরিবেশ ব্যাপকভাবে দূষিত হয়। এছাড়া, প্রধান সড়কটি ও জহিরুল ইসলাম সিটি (আফতাবনগর) ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।