এবারও নতুন বছরের পাঠ্যবইয়ে ভুল দেখা গেছে। নবম ও দশম শ্রেণির ‘বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা’ বইয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও এর পরবর্তী অবস্থা নিয়ে কিছু তথ্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এ বইটিতে ২৫ মার্চের কালরাত থেকে শুরু হয় হত্যাযজ্ঞের ইতিহাস এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। একই বইয়ে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মাদ সায়েম শপথ পাঠ করিয়েছেন বলে দাবি করা হলেও প্রকৃত পক্ষে বঙ্গবন্ধুকে শপথ পড়ান তখনকার নতুন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী। এমন কিছু অসঙ্গতি বা শব্দগত পার্থক্যের ভুল দেখা গেছে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের নতুন পাঠ্যপুস্তকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তারা এসব ভুল ঠিক করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আর বই পরিমার্জনা কমিটি বলছে, পাঠ্য বইয়ের লেখক ও সম্পাদক সবাই এর জন্য দায়ী। আর ভুলের মাত্রা বেশি হলে প্রয়োজনে সংশোধনী দেয়া হবে বলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
নবম ও দশম শ্রেণির ‘বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা’ বইয়ের ২০০ পৃষ্ঠায় বলা হচ্ছে, ১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মাদ সায়েমের নিকট প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহন করেন। প্রকৃত পক্ষে ওই সময় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে শপথ পড়ান তখনকার নতুন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী।
একই বইয়ের ১৮১ পৃষ্ঠায় বলা হচ্ছে ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জুড়ে পাকিস্তানী বাহিনী হত্যাযজ্ঞ চালায়। কিন্তু সঠিক হচ্ছে ২৫ মার্চের কালরাত থেকে শুরু হয় হত্যাযজ্ঞ।
একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের ১৬ পৃষ্ঠায় বলা হচ্ছে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ ক্যাম্প। কিন্তু এটি হবে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স।
১১ পৃষ্ঠায় বলা হচ্ছে ১৬৭ আসন পেয়ে আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু অর্ধেকের বেশি আসন হলে তাকে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা বলা হয়।
কেন পাঠ্য বইয়ের ভুল এড়ানো যাচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা বইটির পরিমার্জনা কমিটির সদস্য প্রফেসর আকসাদুল আলম বলেন, দায়িত্ব কেবল পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের একার জন্য বরং সবারই দায় আছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, বড় কোন ভুল এখনো চোখে পড়েনি। তবে ভুলের মাত্রা বেশী হলো প্রয়োজনে সংশোধনী দেয়া হবে।
এর আগে উচ্চ আদালতের নির্দেশে পাঠ্য পুস্তকে বেশ কিছু সংশোধনী দিয়েছিলো এনসিটিবি।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।