আমি চাই শেখ হাসিনা বেঁচে থাকুক, এটাই তার শাস্তি: শফিক রেহমান

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

প্রবাসজীবন কাটিয়ে ছয় বছর পর দেশে ফেরা সাংবাদিক শফিক রেহমান বলেছেন, তিনি চান শেখ হাসিনা বেঁচে থাকুক। বেঁচে থাকাকেই তাঁর শাস্তি বলে মনে করেন তিনি। রোববার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর এই মন্তব্য করেন শফিক রেহমান।

এর আগে রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে লন্ডন থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান শফিক রেহমান। 

শফিক রেহমানকে বিমানবন্দরে করতালি ও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সাংবাদিক নেতা এবং বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা। শফিক রেহমানের স্ত্রী তালেয়া রেহমানও সঙ্গে ছিলেন।

বিমানবন্দরে শফিক রেহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশে ফিরে শেখ হাসিনাকে খুব অনুভব করছি। আমি তার মৃত্যুদণ্ড চাই না। মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে। এবারের আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদেরকে পুনর্বাসন করতে হবে।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ৩ আগস্ট পল্টন থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলার আসামি করা হয় শফিক রেহমানকে। ২০১৬  খ্রিষ্টাব্দের ১৬ এপ্রিল এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান। ২০১৮  খ্রিষ্টাব্দে দেশ ছাড়েন শফিক রেহমান।

সংবাদমাধ্যম যায়যায়দিনের সাবেক এই সম্পাদক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সম্পর্কে বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) এবং তার পিতা দুজনেই পালিয়ে গেছেন। আমি তাদের উপাধি দিয়েছি। একজন হচ্ছেন বীর পলাতক শ্রেষ্ঠ, আরেকজন হচ্ছেন বীর পলাতক উত্তম।’

শফিক রেহমান বলেন, ‘আমি মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে। আমি কারও প্রাণহানি চাই না। কোনো সহিংসতা নয়, সবাইকে ভালবাসুন। এটা বিপ্লবী সরকার, এখানে এখন বিপ্লবী আইন চলছে। সে আইনে দুই মাসের ভিতরে বিচার করতে হবে। কিউবার ইতিহাস আপনারা পড়েন, তাহলে জানতে পারবেন।’ 

নতুন সরকারের কাছে চাওয়া সম্পর্কে শফিক রেহমান বলেন, ‘সবার চাকরি হতে হবে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমাতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ - dainik shiksha ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! - dainik shiksha সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! - dainik shiksha নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস - dainik shiksha এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.002734899520874