আমিনবাজারে ৬ ছাত্র হত্যায় ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক |

১০ বছর আগে রাজধানীর অদূরে সাভারের আমিনবাজারের বড়দেশী গ্রামে ৬ ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় ১৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ১৯ জনকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আর ২৫ জন খালাস পেয়েছেন।

ঢাকা জেলার দ্বিতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ ইসমত জাহান আজ বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শাকিলা জিয়াসমিন।

ছবি : সংগৃহীত

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন—আবদুল মালেক, সাইদ মেম্বার, আবদুর রশীদ, ইসমাইল হোসেন, জমশের আলী, মীর হোসেন, মজিবর রহমান, আনোয়ার হোসেন, রজ্জব আলী সোহাগ, আলম, রানা, আবদুল হামিদ ও আসলাম মিয়া।

গত ২২ নভেম্বর এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন (২ ডিসেম্বর) ধার্য করেন। সে অনুযায়ী আজ রায় হলো।

পিপি শাকিলা জিয়াসমিন জানান, এ মামলার মোট আসামি ছিল ৬০ জন। তাঁদের মধ্যে তিনজন মারা গেছেন, পলাতক ১২ জন। রায় ঘোষণা উপলক্ষে কারাগারে থাকা ৪৫ আসামিকে আজ আদালতে হাজির করা হয়।

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এ মামলায় ২০১৩ সালের ৮ জুলাই ৬০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ৫৫ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয় গত বছরের ১৮ আগস্ট এবং যুক্তিতর্ক শুরু হয় চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০১১ সালের ১৭ জুলাই পবিত্র শবে বরাতের রাতে সাত বন্ধু ঘুরতে গিয়েছিলেন আমিনবাজারের বড়দেশী গ্রামে। রাত সোয়া একটার দিকে স্থানীয় কিছু দুর্বৃত্ত তাঁদের ডাকাত বলে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। এতে ছয়জন মারা যান, একজন প্রাণে বাঁচেন।

নিহত ছাত্রদের স্বজনদের ভাষ্য, হামলায় অংশ নেওয়া অধিকাংশ লোকই মাদক ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত।

হামলায় নিহত ছয় ছাত্র হলেন শামস রহিম, তৌহিদুর রহমান, ইব্রাহিম খলিল, কামরুজ্জামান, টিপু সুলতান ও সিতাব জাবির। 

হামলায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া ছাত্রের নাম আল-আমিন। 

হামলার ঘটনার পরদিন স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী আবদুল মালেক বাদী হয়ে সাত ছাত্রের বিরুদ্ধে সাভার থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেন। তদন্তে ডাকাতির মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। 

ছয় ছাত্রকে হত্যার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে সাভার থানায় একটি মামলা করে। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলাটি র‍্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ১৩ জানুয়ারি র‍্যাব ৬০ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। 

অভিযোগপত্রে সাক্ষী করা হয় ৯২ জনকে। অভিযোগপত্রে বলা হয়, নিরীহ ছাত্রদের হত্যার উদ্দেশ্যে আসামিরা মারধর করেন। হত্যার ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় মসজিদের মাইকে ডাকাত আসার ঘোষণা দেওয়া হয়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0052011013031006