দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে ১০ মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পাশাপাশি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীও ৯ মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন।
আজ বুধবার এসব আবেদন করা হয় বলে জানিয়েছেন তাঁদের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।
এ আইনজীবী বলেন, ‘গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে সংঘর্ষের পর রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানায় এসব মামলা করা হয়েছে।
১০ মামলার মধ্যে আট মামলার এজাহারে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নাম রয়েছে। আর দুই মামলায় তিনি সন্দেহভাজন। কিন্তু তাঁকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিগুলোতে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার দেখানো হয়নি।
এ অবস্থায় আমাদের তো বসে থাকলে চলবে না। তাই জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।’
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। ২০ শর্তে তাদের সমাবেশের অনুমতি দেয় পুলিশ।
ওই দিন আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরুর আগেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান দলটির নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের ফটক ভেঙে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। সংঘর্ষের মধ্যে পণ্ড হওয়া সমাবেশ থেকেই পরদিন সারা দেশে হরতালের ডাক দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ২৯ অক্টোবর সেই হরতালের সকালে গুলশানের বাসা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। ওই দিন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে জামিন আবেদন করেন মির্জা ফখরুল।
কিন্তু আবেদনটি নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
এরপর গত ২ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মির্জা ফখরুলের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তাঁর আইনজীবীরা। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের জামিন নামঞ্জুর করলে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। গত ৪ ডিসেম্বর আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ওঠে। পরে ৭ ডিসেম্বর শুনানির পর মির্জা ফখরুলের জামিন প্রশ্নে রুল দেন হাইকোর্ট।
এদিকে সমাবেশের দিন পুলিশ কনস্টেবল আমিনুল পারভেজ হত্যা মামলায় পল্টন মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন পুলিশের উপপরিদর্শক মাসুক মিয়া। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রধান আসামি করে মোট ১৬৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়। গত ২ নভেম্বর রাতে গুলশানের বাসা থেকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এদিন সন্ধ্যায় বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপনকেও গ্রেফতার করা হয়।