ভারতের কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় হাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি অভিজিৎ মন্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার তথ্য-প্রমাণ লোপাট, ষড়যন্ত্র এবং নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দেরিতে এফআইআর দায়ের করার অভিযোগে ওসিকে গ্রেফতার করে সিবিআইয়ের স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
এ মামলার শুনানির ৭২ ঘণ্টা আগেই এই গ্রেফতারকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই। ধর্ষণ ও খুনের পর তাদের কার্যকলাপ সারা দেশে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছিল। খবর- এনডিটিভি।
আলোচিত এ ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে তার সাথে দেখা না করে ফিরে আসার কয়েক ঘণ্টা পর এ গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটলো। যদিও আগেই আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার ছিলেন সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আপাতত প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে আছেন তিনি। এবার ওই হাসপাতালের স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষে পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ এবং খুনের মামলার তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো।
এর আগে টানা ১৬ দিন ধরে ওসি অভিজিৎ মন্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন সিবিআইকে ভুল তথ্য-প্রমাণ দিতে থাকেন অভিজিৎ মন্ডল। ফলে শনিবার রাতে তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ৯ আগস্ট আরজি করের ঘটনার পর ১১ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। সিবিআই হাতে দায়িত্ব যাওয়ার পরই ওসি অভিজিৎ মন্ডল একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তিও হন শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে। তারপরও কেন্দ্রীয় সংস্থা লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেপ্তার করে।
হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে তরুণী চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধারের পর থেকেই সন্দীপের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তাররা। এমনকি কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টেও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল সন্দীপকে। বিশেষত কেন তিনি এফআইআর দায়ের করেননি, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল।