ইরানে কিন্ডারগার্টেন ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইংরেজি, আরবিসহ সব ধরণের বিদেশি ভাষা শিক্ষা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনা এ তথ্য জানিয়েছে।
ইরানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মাসুদ তেহরানি-ফারজাদ বলেন, “কিন্ডারগার্টেন, নার্সারি স্কুল ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিদেশি ভাষা শেখানো নিষিদ্ধ। কারণ এই বয়সে শিশুর ইরানি পরিচয় তৈরি হয়।”
তিনি আরও বলেন, “বিদেশি ভাষা শিক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞা শুধু ইংরেজির ওপর নয়, আরবিসহ অন্য ভাষাগুলোর সঙ্গেও সম্পর্কিত।”
ফারসি ইরানের একমাত্র সরকারি ভাষা, যা আরবি থেকে দৃঢ়ভাবে প্রভাবিত হলেও ফরাসি ও ইংরেজি থেকেও ধার করে।
এর আগে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষা শিক্ষা নিষিদ্ধ করেছিল ইরান, যদিও মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ভাষাটি পড়ানো হয়।
গত বছরের জুনে ইংরেজি ভাষার একচেটিয়া আধিপত্য দূর করতে সারা দেশে স্কুলে পরীক্ষামূলকভাবে ফরাসি শেখানোর পরিকল্পনার ইঙ্গিত দিয়েছিল ইরানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেপ্টেম্বরে সরকার ইরানি বা দ্বৈত-নাগরিকত্বের শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক স্কুলে ভর্তি হতে নিষেধ করে বলেছিল, ইরানি শিশুদের দেশের স্কুল পাঠ্যক্রম অনুসরণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে ফরাসি, জার্মান প্রতিষ্ঠানসহ তেহরানের কিছু আন্তর্জাতিক স্কুলে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা হঠাৎ করে কমে যায়।