বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার বিভিন্ন সময়ে একাধিক আর্থিক অনুশাসন জারি করেছে। দেশের টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে এসব আর্থিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বিধিমালা যথাযথভাবে অনুসরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য ও এপিএ (বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি) টিমের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অংশীজনদের নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ২০৪১ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে স্থান পেতে হলে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অবশ্যই স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। সুশাসনের অভাব থাকলে দক্ষ মানবসমম্পদ উন্নয়নে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হবে। ফলে বৈশ্বিক শ্রমবাজারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা আমাদের গ্রাজুয়েটদের পক্ষে সম্ভব হবে না।
তিনি শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা তৈরি এবং তা ওয়েবসাইটে আপলোড করার আহ্বান জানান। বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা কার্যকরভাবে বাস্তবায়নেও তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান।
ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান কর্মশালায় সূচনা বক্তব্য দেন। ইউজিসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও এনআইএসের বিকল্প ফোকাল পয়েন্ট মো. মামুনের সঞ্চালনায় সমাপনী বক্তব্য দেন ইউজিসির প্রশাসন বিভাগের যুগ্মসচিব জাফর আহম্মদ জাহাঙ্গীর ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিএ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত তিনজন প্রতিনিধি এবং ইউজিসির ১৭ জন কর্মকর্তা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।