ইসরাইলি বিমান হামলায় শনিবার গাজার একটি বহুতল ভবন ধসে পড়ে। আল-জালা টাওয়ার নামের ঐ ১২ তলা ভবনে দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) এবং আলজাজিরাসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম ও অন্যান্য অফিস এবং আবাসিক অ্যাপার্টমেন্ট ছিল। এর পরই এক বিবৃতিতে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, এই ভবনটিতে হামাসের সামরিক কার্যক্রম ছিল। যদিও ভবনটির মালিক তা অস্বীকার করেছেন। খবর বিবিসি ও ডয়চেভেলের।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ভবনটিতে হামলার ঘটনায় তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এ নিয়ে মহাসচিবের মুখপাত্র বলেছেন, মহাসচিব সব পক্ষকে মনে করিয়ে দিতে চান যে বেসামরিক ও গণমাধ্যম অবকাঠামোর ওপর নির্বিচারে হামলা চালিয়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে এবং যেকোনো মূল্যে তা এড়িয়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনী লোকজনকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই ঐ ভবনটিতে আঘাত হানে। সংবাদ সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী গ্যারি প্রুইট বলেছেন, আমরা অল্পের জন্য প্রাণহানির মতো ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পেরেছি। বহু সাংবাদিক ভবনের ভিতরে ছিলেন এবং ভাগ্যক্রমে আমরা তাদের সবাইকে যথাসময়ে সরিয়ে নিতে পেরেছি। তিনি এই হামলায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
পরবর্তীতে এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা সংস্থাটি বলেছে, গুঁড়িয়ে দেওয়া ভবনটিতে তারা হামাসের অস্তিত্ব বা কার্যক্রম থাকার বিষয়ে কখনো কোনো চিহ্ন দেখতে পায়নি। এ বিষয়ে ইসরাইলকে প্রমাণ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এপি। পরবর্তীতে গ্যারি প্রুইটকে ফোন করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। তিনি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অব্যাহত রাখার ব্যাপারে সমর্থন ব্যক্ত করেন।
গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলায় উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন প্রেস অ্যাসোসিয়েশন। এর মধ্য দিয়ে ইসরাইল গণমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে কার্যক্রম চালাতে দিতে চায় কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি। কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আলজাজিরা হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, গণমাধ্যমকে চুপ করাতে এবং গাজায় ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর অপরাধ ঢাকতে এই হামলা চালানো হয়েছে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন