সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামী সপ্তাহে ফের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন আন্দোলনকারীরা। চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদের নেতারা বলছেন, দাবি মানা না হলে আগামী মঙ্গলবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সেই সঙ্গে বুধবার থেকে আবার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করা হবে।
মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদের আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন ঘোষণা দেন সংগঠনটির আহ্বায়ক শরিফুল হাসান শুভ।
তিনি বলেন, আমরা ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সচিবালয়ে দেখা করে আমাদের দাবির যৌক্তিকতা সম্পর্কে বলি। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনী ইশতেহারে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ এর বিষয়টি স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে করোনার সময় চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধি না করে একটি ব্যাকডেট দেয়া হয় সে বিষয়টিও বলা হয়েছে। যারা প্রকৃতপক্ষে করোনার সময়ে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে তারা কিন্তু এ ব্যাকডেটের আওতায় আসতে পারিনি। সেটির যথার্থ প্রমাণসহ প্রতিমন্ত্রীর কাছে উপাস্থাপন করি। দশ সদস্যের প্রত্যেকজনই আলাদা আলাদাভাবে এ দাবির যৌক্তিকতা প্রতিমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন।
তিনি আরো বলেন, প্রতিমন্ত্রীকে আমরা দাবি বাস্তবায়নের জন্য বলি। তিনি তাৎক্ষণিক বলেছেন পিএসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে, তার মাধ্যমে আমাদেরকে জানানো হবে।
শরিফুল হাসান শুভ বলেন, আগামী মঙ্গলবার মন্ত্রী পরিষদের একটি মিটিং রয়েছে। আমরা আশা করি সেখানে হয়তো প্রধানমন্ত্রীর কাছে শিক্ষার্থীদের সমাজের এ দাবি উত্থাপন করবেন। এর মাধ্যমে দাবি বাস্তবায়ন করে দেবেন বলে আমরা আশা করি। সেই পর্যন্ত আমরা আল্টিমেটাম দিয়ে গেলাম, অন্যথায় আগামী বুধবার থেকে নতুন কোনো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ডাক দিবো।
তাদের দাবিগুলো হলো, চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করা, অবসরে বয়সসীমা বৃদ্ধি, চাকরিতে আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদে বঙ্গবন্ধুর নামে বঙ্গবন্ধু ল’ কমপ্লেক্স স্থাপন।