শুধু আসন স্বল্পতার কারণে অনেক মেধাবী মেয়ে ক্যাডেট কলেজে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বৃহস্পতিবার সংসদের বৈঠকে ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র সদস্য এ. কে. আজাদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
একই প্রশ্নের উত্তরে আনিসুল হক জানান, দেশের ১২টি ক্যাডেট কলেজের মধ্যে তিনটি মহিলা ক্যাডেট কলেজ। মোট জনসংখ্যার ছেলে ও মেয়ের অনুপাত প্রায় সমান হলেও ক্যাডেট কলেজে মেয়েদের পড়ার সুযোগ কম। প্রতিবছর সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষায় তুলনামূলক বেশি ভালো ফল করা সত্ত্বেও শুধু আসন স্বল্পতার কারণে অনেক মেধাবী মেয়ে ক্যাডেট কলেজে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে না। এ ছাড়া গার্লস ক্যাডেট কলেজগুলোর ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী দেশের দক্ষিণাঞ্চলে কোনো গার্লস ক্যাডেট কলেজ নেই।
তিনি বলেন, নবম সংসদে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে হাওর অঞ্চলে একটিসহ পুরোনো ২০ জেলার মধ্যে যেখানে কোনো ক্যাডেট কলেজ নেই, সেখানে একটি করে ক্যাডেট কলেজ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ওই ২০ জেলার মধ্যে ফরিদপুরে একটি গার্লস ক্যাডেট কলেজ স্থাপনের প্রস্তাবনা উত্থাপিত হয়েছিল। পরে আর্থিক সংশ্লেষের কারণে তা সম্ভব হয়নি।
ফরিদপুরে গেজেটভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৪ হাজার ১৮৯ জন। গতকাল সংসদে ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ. কে. আজাদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, এর মধ্যে আলফাডাঙ্গায় ৭১৯ জন, চরভদ্রাসনে ১৭৭, নগরকান্দায় ৬৩৯, ফরিদপুর সদরে ৪৫৭, বোয়ালমারীতে ৫৫১, ভাঙ্গায় ৭০০, মধুখালীতে ৫০০, সদরপুরে ২৬১ ও সালথায় ১৮৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা আছেন।
বীরাঙ্গনার স্বীকৃতি পেয়েছেন ৫০৪ জন
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সুপারিশের আলোকে ইতোমধ্যে নারী মুক্তিযোদ্ধা (বীরাঙ্গনা) হিসেবে ৫০৪ জনকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন মোজাম্মেল হক। পিরোজপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র এমপি শামীম শাহনেওয়াজের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
এদিকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বনায়ন কর্মসূচির অধীনে ফরিদপুর সদর উপজেলায় বনায়ন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গৃহীত প্রকল্পের বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর কাছে প্রশ্ন রাখেন এ. কে. আজাদ। উত্তরে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, এ লক্ষ্যে ‘ট্রি ফার্মিং ফান্ড’ হতে ফরিদপুর সদর উপজেলায় ১০ কিলোমিটার স্ট্রিপ বাগান করতে ১০ হাজার গাছের চারা রোপণের কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ফরিদপুর সদর উপজেলায় জনগণের মাঝে বিক্রয় ও বিতরণের জন্য ৫০ হাজার বনজ, ফলদ ও ঔষধি গাছের চারা উত্তোলন করা হয়েছে।