আড়াই টাকা ‘অনিয়মে’ চাকরি হারানো ওবায়দুল ৩৯ বছর পর পাচ্ছেন সব পাওনা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

আড়াই টাকা অনিয়মের অভিযোগে দণ্ডিত হয়ে ১৯৮২ সালে চাকরি হারান কুষ্টিয়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ওবায়দুল আলম আকন। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলের সেই মামলার নিষ্পত্তি করা হয়েছে আজ। এ–সংক্রান্ত একটি রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ। সেই সঙ্গে ওবায়দুল আলমকে চাকরির সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে তিনি সারা জীবনের বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

২৪ জুন এই রিভিউ আবেদনের ওপর শুনানি হয়। এরপর ২৮ জুন আদেশের দিন ধার্য করেন আদালত। ওই দিন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। ওবায়দুল আলমের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী।

আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’

প্রবীর নিয়োগী জানিয়েছেন, রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার ফলে ওবায়দুল আলম তাঁর হারানো চাকরির সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওবায়দুল আলম আকন কুষ্টিয়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পাট সম্প্রসারণ সহকারী ছিলেন। তিনি চাকরিতে যোগ দেন ১৯৭৪ সালে। ১৯৮২ সালে পাঁচ প্যাকেট পাটের বীজ বিক্রিতে ওবায়দুল আলম আড়াই টাকা বেশি নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন এক ব্যক্তি।

এ ঘটনায় ১৯৮২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর করা অভিযোগে ওবায়দুল আলমকে দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দণ্ড দিয়ে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। দ্রুত তাঁকে চাকরিচ্যুতও করে কৃষি বিভাগ। চাকরি ফিরে পেতে বহু দিন চেষ্টা-তদবির করে ব্যর্থ হয়ে ২০১২ সালে হাইকোর্টে রিট করেন ওবায়দুল আলম।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন

২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ওবায়দুলের সাজা বাতিল করেন আদালত। তাঁকে উপযুক্ত পদে বহাল করে চাকরির সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে ২০১৮ সালে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। ২০২০ সালের ৮ মার্চ আবেদন খারিজ করে আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ও বহাল রাখে। কিন্তু ওবায়দুল আলমকে চাকরিতে পুনর্বহাল না করে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য রিভিউ আবেদন করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। আজ সেই আবেদনও খারিজ হলো।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন কলেজ পরিচালনা পর্ষদ থেকে ঘুষে অভিযুক্ত সাংবাদিককে বাদ দেওয়ার দাবি - dainik shiksha কলেজ পরিচালনা পর্ষদ থেকে ঘুষে অভিযুক্ত সাংবাদিককে বাদ দেওয়ার দাবি পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.010812997817993