বাংলাদেশ থেকে যে আড়াই শ রোহিঙ্গা ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে গিয়েছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। আচে প্রদেশের বাসিন্দারা গতকাল শুক্রবার জানিয়েছেন, ওই রোহিঙ্গাদের নৌকা থেকে নামতে দেয়া হয়নি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ২৪৯ রোহিঙ্গাকে নিয়ে কাঠের একটি নৌকা আচের উপকূলে পৌঁছায়। ওই নৌকায় থাকা মনজুর আলম নামের এক রোহিঙ্গা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ২০ দিন আগে তাঁরা নৌকায় করে কক্সবাজার থেকে রওনা হন। এই ২৪৯ জনের মধ্যে ৫৪টি শিশু ও নবজাতক, ১০৮ জন নারী এবং ৭৯ জন পুরুষ রয়েছেন। তিনি বলেন, নৌকায় থাকা মানুষ বেশ ক্ষুধার্ত। কয়েক দিন ধরে তাঁরা কোনো খাবার পায়নি।
রোহিঙ্গাদের বহন করা নৌকাটি বৃহস্পতিবার উপকূল থেকে ১০০ মিটার দূরে অবস্থান নেয়। এ নৌকা দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা খেপে যান। ফলে রোহিঙ্গারা ওই উপকূল থেকে সাগরের দিকে রওনা হন। তবে কয়েক কিলোমিটার যাওয়ার পর আচে প্রদেশের আরেক উপকূলে নৌকাটি ভেড়ানোর চেষ্টা করা হয়। এতে ওই উপকূলের বাসিন্দারাও খেপে যান। এ প্রসঙ্গে আচে প্রদেশের উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দা সাইফুল আফাওদি বলেন, ‘আমরা ওই রোহিঙ্গাদের আচরণে খুবই বিরক্ত। তাঁরা উপকূলে নেমেই পালিয়ে যায়। কিছু দালাল রয়েছেন, যাঁরা ওই রোহিঙ্গাদের এখানে এনে থাকেন। এটা মানব পাচার।’
সম্প্রতি কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয়শিবির থেকে সাগর পাড়ি দিয়ে রোহিঙ্গাদের পালানোর প্রবণতা বেড়েছে। অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
সূত্র : এএফপি, জাকার্তা