আয়ানের মৃত্যু: পুনরায় তদন্তে কমিটি গঠন করে দিলো হাইকোর্ট

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

দৈনিকশিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: রাজধানীর ইউনাইটেড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনা পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছে আদালত। কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ ) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।

কমিটির প্রধান করা হয়েছে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ এ বি এম মাকসুদুল আলমকে। গঠিত কমিটিতে চার জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জন শিক্ষককে রাখা হয়েছে।

বাকি সদস্যরা হলেন: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শশাঙ্ক কুমার মন্ডল, জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাথী দস্তিদার, ঢাকা শিশু হাসপাতালের অধ্যাপক আমিনুর রশীদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন।

গত ৩০ ডিসেম্বর সাতারকুল বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশু আয়ানের সুন্নতে খতনা করা হয়। সেখান থেকে নানা শারীরিক জটিলতার কারণে তাকে ভর্তি করা রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে। ঐ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকাবস্থায় শিশুটি ৭ জানুয়ারি মারা যায়। এ ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়। ঐ কমিটির দেওয়া রিপোর্টে বলা হয়েছিল, শিশু আয়ান ছিল ব্রংকিয়াল অ্যাজমার রোগী। সুন্নতে খতনার আগে চেতনানাশকসহ আনুষঙ্গিক
ইনজেকশন প্রয়োগে শিশুটির ফুসফুসে নানা ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। সেখান থেকে ভেনটিলেশনের কারণে ফুসফুসের বায়ুথলিগুলো ক্ষতি হতে পারে বলে মত দেয় তদন্ত কমিটি।  

কমিটি বলে, ভেনটিলেশনের পর শিশু আয়ানের ফুসফুস ও হৃদ্যন্ত্র সচল করতে সিপিআর দেওয়া হয়। সিপিআর ও বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগ করে তার হৃদ্যন্ত্র সচল করতে প্রায় ১০ মিনিটের মতো সময় লেগেছে। এই সময়ে অক্সিজেন স্বল্পতায় তার মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে মস্তিষ্কের সিটি স্ক্যান ও ইলেকট্রোএনসেফেলোগ্রাম পরীক্ষা করতে তার মস্তিষ্কের ক্ষতির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যেত। ফুসফুস ও হৃদ্যন্ত্র সচল করতে দেওয়া সিপিআরের ফলে শিশুটির বুকের পাঁজর ভাঙতে পারে। এছাড়া সুন্নতে খতনা অপারেশনে স্বাভাবিক রক্তপাত হয়েছে বলে তাদের ধারণা।

এই তদন্ত রিপোর্টে সন্তুষ্ট হয়নি হাইকোর্ট। এরপরই নতুন করে তদন্ত কমিটি গঠন করে দিল আদালত। এ সময় আদালতে রিটকারী পক্ষে আইনজীবী শাহজাহান আকন্দ মাসুম, রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় এবং ইন্টারভেনর হিসেবে মো. শিশির মনির উপস্থিত ছিলেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
পেছালো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা - dainik shiksha পেছালো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা প্রশ্নফাঁসের মামলায় ১০ জনের কারাদণ্ড, খালাস ১১৪ - dainik shiksha প্রশ্নফাঁসের মামলায় ১০ জনের কারাদণ্ড, খালাস ১১৪ শিক্ষা ভবনের সেই বিপুলকে বদলি, গ্রেফতার চান এমপিও শিক্ষকরা - dainik shiksha শিক্ষা ভবনের সেই বিপুলকে বদলি, গ্রেফতার চান এমপিও শিক্ষকরা পলাতক ফাহিমার ক্যাশিয়ার কামালকে গ্রেফতারের দাবি - dainik shiksha পলাতক ফাহিমার ক্যাশিয়ার কামালকে গ্রেফতারের দাবি দীপু মনির ক্যাশিয়ার পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সচিব নাজমাকে বদলি - dainik shiksha দীপু মনির ক্যাশিয়ার পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সচিব নাজমাকে বদলি ঢাকা কলেজের নতুন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ইলিয়াস - dainik shiksha ঢাকা কলেজের নতুন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ইলিয়াস রাষ্ট্র পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা - dainik shiksha রাষ্ট্র পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষা কমিশন কেনো হলো না - dainik shiksha শিক্ষা কমিশন কেনো হলো না ১৫ এলাকায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে - dainik shiksha ১৫ এলাকায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ ও সবুজায়নের তথ্য আহ্বান - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ ও সবুজায়নের তথ্য আহ্বান please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029740333557129