করোনা ভাইরাস মহামারির পরিস্থিতি বিবেচনায় ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোর ফি ৩০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমানেরা দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা। ইংরেজিমাধ্যম স্কুলগুলোতে যৌক্তিক হারে ফি নির্ধারণ করে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
গতকাল শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল পেরেন্টস ফোরামের নেতারা ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোর ফি কমানোর দাবি জানান।
ফোরামের সভাপতি এ কে এম আশরাফুল হক লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে মহামারির কারণে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় অবশ্যই ফি শ্রেণিভেদে (ভাড়াকরা ক্যাম্পাস, নিজস্ব ক্যাম্পাস এবং আয় বিবেচনায়) ৩০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ কমাতে হবে। ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোর যৌক্তিক টিউশন ফি নির্ধারণে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে আমরা আশা করি। এ সময়ে কোনো শিক্ষার্থীকেই স্কুল কর্তৃপক্ষ পুনঃভর্তি, প্রমোশন বা অনলাইন ক্লাসের বাইরে রাখতে পারবেন না। আর এটা করলে হবে অন্যায়।’
আশরাফুল হক আরও বলেন, ‘করোনাকালে অধিকাংশ ইংরেজি মাধ্যম স্কুল কর্তৃপক্ষ সরকারি নির্দেশাবলীর কোনো তোয়াক্কা না করে অত্যন্ত অমানবিক ও অযৌক্তিকভাবে অভিভাভবকদের বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি দেখিয়ে অর্থনৈতিক অবস্থার সঙ্গে অসামঞ্জস্যমূলক উচ্চ হারের টিউশন ফি আদায়ের অপচেষ্টায় লিপ্ত আছেন। যা আমাদের সন্তানদের সাংবিধানিক ও মৌলিক মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’
তিনি বলেন, ‘সব শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে হবে। ধাপে ধাপে ভ্যাকসিন নিশ্চিত সাপেক্ষে স্কুলগুলোর সন্তোষজনক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রস্তুতি দেখে এবং করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্কুল খুলতে হবে। প্রথম ধাপে ১২ বছর থেকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় ধাপে ১২ বছরের নিচ পর্যন্ত। প্লে গ্রুপ নার্সারি এবং কেজি ক্লাস ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারির আগে কোনোভাবে খোলা যাবে না। আমরা মানসিকভাবে পুরোপুরি প্রস্তুত নই।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল পেরেন্টস ফোরামের সহ-সভাপতি ফেরদৌস আজম খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবু ফয়সল মোহা. তোহাসহ অনেকে।