দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় ২০২৩-২৪ খ্রিষ্টাব্দের জন্য ভিডব্লিউবি কর্মসূচির আওতায় ভিজিডি তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও জনপ্রতিনিধিদের অবমূল্যায়ন করার প্রতিবাদে ইউএনও রাশিদা আক্তারের অপসারণের দাবিতে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ইউএনও অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন ইউপি সদস্য, আনসার ভিডিপি ও এলাকাবাসী।
সোমবার সকাল ১১টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত উপজেলা ইউপি সদস্য ঐক্য ফোরাম ও এলাকাবাসীর আয়োজনে খানসামা ডাকবাংলো সামনের সড়কে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে স্থানীয়রা অংশ নেন।
উপজেলা ইউপি সদস্য ও সদস্যা ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোজাহারুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক এনামুল হকের নেতৃত্বে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্যরা ও স্থানীয়রা।
খামারপাড়া ইউপি সদস্য আখতার হোসেন বলেন, ২০২৩-২৪ সালের জন্য ভিডব্লিউবি (ভিজিডি) কর্মসূচির আওতায় উপজেলা প্রশাসন যে তালিকা প্রণয়ন করেছে সেটি নিয়ম মেনে হয়নি। ইউএনও মহোদয় অটোমেশনের কথা বলে স্বেচ্ছাচারিতা করে উপজেলা চেয়ারম্যানের পছন্দের তালিকা তৈরি করেন। এটি সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূত।
উপজেলা ইউপি সদস্য ও সদস্যা ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোজাহারুল ইসলাম বাবুল বলেন, ইউএনও রাশিদা আক্তারের স্বেচ্ছাচারিতা ও দূর্নীতিতে উপজেলাবাসী অতিষ্ঠ। তার অপসারণের মাধ্যমে স্বস্তি চায় জনগণ।
তিনি আরো বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও চুরি-ছিনতাই রোধে স্থানীয় সাংসদ আবুল হাসান মাহমুদ আলীর পরিকল্পনায় ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের আনসার ভিডিপি সদস্যদের রাত্রিকালীন পাহারাদার হিসেবে রাখা হয়। কিন্তু চলতি মৌসুমের ভিজিডি তালিকায় রাত্রিকালীন পাহারাদার, কমিউনিটি ক্লিনিকের আয়া ও বিভিন্ন দপ্তরের বিনা বেতনের কর্মচারীদের নাম নেই। এতে পুরো উপজেলা জুড়ে তারা দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করছেন। এই ঘটনার সুরাহার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংশ্লিষ্ট সবার সুদৃষ্টি কামনা করছি।
প্রসঙ্গত, ইউনিয়ন পরিষদের মতামত ও ভিডব্লিউবি ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের স্বাক্ষর ছাড়াই ইউএনও, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও ইউপি সচিব খানসামা উপজেলায় চূড়ান্ত হওয়া ভিডব্লিউবি কর্মসূচির ২ হাজার ৬৫৯ জনের তালিকা সংশোধন করার দাবিতে গত ১০ জানুয়ারি দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে ৪ ঘন্টা অবরুদ্ধ করেছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য-সদস্যারা। পরে ওসি চিত্তরঞ্জন রায়ের হস্তক্ষেপে দুই পক্ষের মধ্যে বৈঠকের সিদ্ধান্ত হওয়ায় অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করে এই উদ্ভুত পরিস্থিতির সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত মাসিক সভাসহ উপজেলা প্রশাসনের সব কাজ বর্জন করেন ৬ ইউপি চেয়ারম্যান। কিন্তু এখনও এ বিষয়ে কোনো বৈঠক না হওয়া বা সমাধানের আশ্বাস মেলেনি বলেই ক্ষোভে মানববন্ধন কর্মসূচি করেছেন তারা।