ইউনিফর্ম না পরায় ছাত্রের আঙুল ভেঙে দিলেন শিক্ষক

পিরোজপুর প্রতিনিধি |

পিরোজপুরের নেছারাবাদে ইউনিফর্ম না পরায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রকে বেত্রাঘাত করেছেন শিক্ষক। এতে তার ডান হাতের আঙুল ভেঙে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে আকলম মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ছাত্রের নাম শাহরিয়ার (১২)। সে উপজেলার আরামকাঠি গ্রামের মো. শাহিন মিয়ার ছেলে। আর অভিযুক্ত তাপস মণ্ডল ওই স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক। 

শাহরিয়ারের মা বলেন, ‘আমার ছেলের একটি প্যান্ট। আজ প্যান্ট ভেজা ছিল। তাই সে জিনস প্যান্ট পরে স্কুলে গিয়েছিল। এতে তাঁর শিক্ষক তাপস মণ্ডল রাগান্বিত হয়ে এলোপাতাড়ি বেত্রাঘাত করে ছেলের ডান হাতের একটি আঙুল ভেঙে দিয়েছেন।’ 

শাহরিয়ারের মা আরও বলেন, খবর পেয়ে ছেলেকে নিয়ে নেছারাবাদ হাসপাতালে যান। সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁর ছেলের আঙুলের এক্স-রে দেখে বলেন একটি আঙুল ফ্র্যাকচার হয়েছে। 

শাহরিয়ার বলে, ‘আমাদের স্কুলে জাতীয় সংগীত শুরুর আগে তাপস স্যার আমাকে ইউনিফর্মের প্যান্ট পরা না দেখে বেত দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটুনি শুরু করেন। আমি হাত দিয়ে পিটান থামাতে গেলে আমার হাতে প্রচণ্ড ব্যথা পাই। পরে ডাক্তার দেখাতে এসে দেখি হাতের আঙুল ভেঙে গেছে।’ 

অভিযোগের বিষয়ে তাপস মণ্ডল বলেন, পিটুনি দেওয়ার সময় ওই শিক্ষার্থী আঙুল বেশি নাড়াচাড়া করেছে। তাই বেত ফসকে গিয়ে আঙুলে লেগে আঙুলটা ফ্র্যাকচার হয়েছে। 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ওই ছাত্র জিনস প্যান্ট পরে বিদ্যালয়ে এসেছিল। তাই ক্রীড়া শিক্ষক তাকে দুইটি পিটুনি দিয়েছে। ভুলে হাতের আঙুলে লেগে একটু মচকে ব্যথা পেয়েছে। 

নেছারাবাদ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. নজরুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, ‘ওই ছেলের মা এখানে আসার আগে বাইরের ডায়াগনস্টিক থেকে একটা এক্স-রে করে নিয়ে আসে। এক্স-রে রিপোর্টে তার ছেলের ডান হাতের একটা আঙুল ফ্র্যাকচার দেখা গেছে। আমরা ছেলেটার আঙুল ব্যান্ডেজ করে বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছি।’

জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমাকে কেউ এখনো জানায়নি।’

স্কুলশিক্ষকেরা বেত নিয়ে ক্লাসে যেতে পারবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্কুলে বেত নিয়ে যাওয়ার কোনো অনুমতি নাই। আমি খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখব।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
যারা আপনাদের সেবা করবে তাদের ভোট দেবেন: সারজিস - dainik shiksha যারা আপনাদের সেবা করবে তাদের ভোট দেবেন: সারজিস মাদরাসায় অনুপস্থিত থেকেও ১১ মাসের বেতন তুলেছেন শিক্ষক - dainik shiksha মাদরাসায় অনুপস্থিত থেকেও ১১ মাসের বেতন তুলেছেন শিক্ষক এখনো প্রস্তুত হয়নি একাদশের, পাঁচ বইয়ের পাণ্ডুলিপি - dainik shiksha এখনো প্রস্তুত হয়নি একাদশের, পাঁচ বইয়ের পাণ্ডুলিপি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! - dainik shiksha সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! ৬৬ জন ছাত্রকে পাঁচচুলো করলেন শিক্ষক - dainik shiksha ৬৬ জন ছাত্রকে পাঁচচুলো করলেন শিক্ষক শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারের নতুন পদক্ষেপ - dainik shiksha শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারের নতুন পদক্ষেপ প্রশ্নফাঁসের তদন্ত নিয়ে সিআইডি ও পিএসসি মুখোমুখি - dainik shiksha প্রশ্নফাঁসের তদন্ত নিয়ে সিআইডি ও পিএসসি মুখোমুখি দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.004586935043335