বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে শুক্রবার সকাল থেকে। ইতোমধ্যে লাখ লাখ মানুষ সমাবেত হয়েছে ইজতেমা মাঠ ও আশপাশে। বিপুল পরিমান মানুষের অজুর পানির দেখা দিয়েছে সংকট। মহাসড়ক ও বিভিন্ন রাস্তায় অবস্থানরত মুসল্লিদের অজুর পানির জন্য খরচ করতে হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা এবং নামাজের জন্য কাগজ বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। অজুর জন্য এক বদনা পানি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা এবং পানির বোতল বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। এছাড়াও রাস্তায় নামাজ পড়ার জন্য পেপার কিনতে হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা করে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, টঙ্গী স্টেশন রোড ও কামারপাড়া রোডের মাথায় শতশত মানুষ পানি বিক্রি করছেন। স্থানীয় দোকানদারসহ আশপাশের লোকজন এ সুযোগ ব্যবসা করছেন। তবে পুরোটা এলকা ঘুরে এক জায়গাতেও ফ্রিতে পানি পাওয়া যাচ্ছে না।
পানি বিক্রেতা আবু তালেব দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, কিছুই করার নেই সবাই বিক্রি করছে আমিও করছি। এখন এত মানুষ ফ্রি পানি কোথায় পাবে।
পেপার বিক্রেতা জহির উদ্দিন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, আমরাও পেপার ও কাগজ কিনে এনেছি। এখন লাভে বিক্রি করছি।
গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান জানিয়েছে, ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করছেন ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। মুসল্লিদের ব্যবহারের জন্য ৩১টি ভবনে রয়েছে ৮ হাজার ৮৮৪টি শৌচাগার এবং ৫৪৪টি গোসলখানা। পানি সরবরাহের করা হচ্ছে ১৬টি গভীর নলকূপ সাহায্যে। ৪টি এগারো কিলোভল্ট ফিডারের সাহায্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ৪ টি জেনারেটর প্রস্তুত রয়েছে। মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ৫ জোড়া বিশেষ ট্রেন চাল থাকবে। এছাড়াও মুসল্লিদের পারাপারের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৫টি ভাসমান সেতু নির্মাণ করেছে।