ইতালির দক্ষিণ উপকূলে দুটি জাহাজডুবির ঘটনায় অন্তত ১১ জন নিহত ও ৬০ জন নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা।
জার্মান দাতব্য সংস্থা রেসকিউশিপ (RESQSHIP) জানিয়েছে, সোমবার লাম্বাদুসা দ্বীপের কাছে একটি ডুবন্ত কাঠের নৌকা থেকে ৫১ জনকে উদ্ধার করেছে তারা। একইসঙ্গে ওই নৌকার ডেক থেকে ১০ জনের মরদেহও উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে বাংলাদেশিরাও আছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) বার্তা সংস্থা বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একই দিন আরেকটি ঘটনায় ৬০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন, যাদের মধ্যে ২৬ জনই শিশু বলে জানিয়েছে দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা জনিয়েছে, এই শরনার্থীরা লিবিয়া থেকে তুরষ্কের উদ্দেশে সমুদ্র পাড়ি দিচ্ছিলেন।
লাম্পাদুসা দ্বীপের তীর থেকে যাদের উদ্ধার করা হয়েছে, তাদেরকে সোমবার (১৭ জুন) সকালেই ইতালির কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর উদ্ধারকৃত মরদেহগুলোকে দ্বীপে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রেসকিউশিপ।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর, আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা (আইওএম), জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই কাঠের নৌকাটিতে সিরিয়া, মিশর, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অভিবাসী ছিলেন।
সংস্থাগুলো জানিয়েছে, অন্য জাহাজডুবির ঘটনাটি ঘটেছে ইতালির কালাব্রিয়া উপকূল থেকে ১২৫ মাইল দূরে। ইতালির কোস্টগার্ড জানিয়েছে, ওই জাহাজটি থেকে যে ১২ জনকে জীবীত উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের একজন পরবর্তীতে মারা গেছেন।
ভূমধ্যসাগরের এই পথে প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অভিবাসী নিহত হন। জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, ২০১৪ সাল থেকে ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপ আসার পথে প্রাণ দিয়েছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন ২৩ হাজার ৫০০ এরও বেশি অভিবাসী।