ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বেরলুসকোনি মারা গেছেন। ইতালির সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, দেশটির মিলান শহরের সান রাফায়েল হাসপাতালে ৮৬ বছর বয়সী এ নেতার মৃত্যু হয়।
বেরলুসকোনি ক্রনিক লিউকেমিয়ায় (একধরনের রক্তের ক্যানসার) ভুগছিলেন। তবে শুরুতে খবরটি গোপন রাখা হয়েছিল। লিউকেমিয়ার কারণে ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দিলে গত এপ্রিলে তিনি এর চিকিৎসা নেন।
বিশিষ্ট ধনকুবের ও মিডিয়া টাইকুন বেরলুসকোনি প্রথম ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তিনি ২০১১ সাল পর্যন্ত চারবার সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তী সময় যৌন কেলেঙ্কারি ও দুর্নীতির অভিযোগে আদালতে তাঁর কারাদণ্ড হয়।
বেরলুসকোনি ইতালির মধ্য ডানপন্থী ফোরজা ইতালিয়া দলের নেতৃত্বে ছিলেন। গত সেপ্টেম্বরে নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির নেতৃত্বে জোট সরকারে যোগ দেয় দলটি। তখন বেরলুসকোনি ইতালির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে আপনা–আপনিই নির্বাচিত হন।
ইতালির প্রতিরক্ষামন্ত্রী গুইদো ক্রোসেত্তো বলেন, বেরলুসকোনির মৃত্যুতে বড় ধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে।
টুইটার পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘একটি যুগের অবসান ঘটেছে। বিদায় সিলভিও।’
বেরলুসকোনিকে অনেক বেশি ভালোবাসতেন বলেও টুইটারে উল্লেখ করেছেন ক্রোসেত্তো।
চলতি বছরের শুরুর দিকে সান রাফায়েলের চিকিৎসকেরা জানান, সিলভিও বেরলুসকোনি ক্রনিক মায়েলোমনোসাইড লিউকেমিয়া নামের বিরল রক্তের ক্যানসারে ভুগছেন।
তবে তাঁর মৃত্যুর কারণ কী, তা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে বারবারই তাঁকে অসুস্থ হতে দেখা গেছে।
বেরলুসকোনির জন্ম ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে মিলানে। ভ্যাকুয়াম ক্লিনার বিক্রির মধ্য দিয়ে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। পরে তিনি একটি আবাসন নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। পরবর্তী সময় কয়েকটি টিভি চ্যানেলেরও মালিক হন তিনি। এর মধ্য দিয়ে বেরলুসকোনি ইতালির শীর্ষস্থানীয় ধনীদের কাতারে নাম লেখান।
কিংবদন্তি ফুটবল ক্লাব এসি মিলানের মালিকানার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি লাভ করেন বেরলুসকোনি। ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে ক্লাবটিতে দেউলিয়া হওয়ার হাত থেকে বাঁচান তিনি। এর পর রাজনৈতিক অঙ্গনে নাম লেখান।