পূর্ব এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ভর্তি কমে আসায় এশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের বিভাগগুলোয় উল্লেখযোগ্য প্রভাব দেখা যাচ্ছে। সেগুলোতে তারা ভর্তি হতে চান না। শিক্ষার্থীরা পূর্ববর্তী প্রজন্মের তুলনায় অনির্দিষ্ট অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের মুখোমুখি হওয়ায় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিতের মতো বিষয়গুলো বেছে নিচ্ছেন।
ইকোনমিস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যারা ইতিহাস নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিতে চান, তাদের কাছে তাইওয়ানের ন্যাশনাল চেং কুং বিশ্ববিদ্যালয় সব সময় পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে। অথচ আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে আগামী বছর বিশ্ববিদ্যালয়টির ইতিহাস বিভাগে অধ্যয়নের জন্য কোনো শিক্ষার্থী এবার আবেদন করেননি।
এই পরিবর্তন, বিশেষ করে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং তাইওয়ানের মতো দেশগুলোয় প্রভাব ফেলেছে। সেখানকার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এবং শিক্ষকরা টিউশন ফির ওপর খুব বেশি নির্ভর করে। তাই টিকে থাকার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের পছন্দের সঙ্গে বিভিন্ন কোর্সের সামঞ্জস্য রাখার চেষ্টা করছে। উদাহরণস্বরূপ, দক্ষিণ কোরিয়ায় জনসংখ্যা হ্রাস এবং অর্থনৈতিক চাপের ফলে ২০০০ সাল থেকে ১৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।
পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সরকার বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিতের মতো বিষয়গুলো অগ্রাধিকার দিচ্ছে। তাইওয়ানে সেমিকন্ডাক্টর সেক্টর এবং অন্যান্য উচ্চ প্রযুক্তি শিল্পে তরুণদের প্রস্তুত করার জন্য বিশেষভাবে ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। একইভাবে জাপানে দুই বছরে ডিজিটাল এবং গ্রিন (সবুজ) প্রযুক্তিতে দক্ষতা বিকাশের লক্ষ্যে ১২৬টি প্রতিষ্ঠান সরকারি ভর্তুকির জন্য আবেদন করেছে।