বিভিন্ন এমপিওভুক্ত মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের জুলাই মাসের বেতনের সঙ্গে প্রাপ্য বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষক-কর্মচারীরা বলছেন, যারা উচ্চতর গ্রেড পেয়েছেন তাদের বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট কেটে রাখা হয়েছে। ফলে উচ্চতর গ্রেড পাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পরেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন। এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। ইনক্রিমেন্ট বঞ্চিত শিক্ষক-কর্মচারীরা এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন।
মানববন্ধনে শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, উচ্চতর গ্রেড পাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীদের মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট দেয়নি। আগে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ছিল না।শিক্ষকদের মানবিক দিক বিবেচনায় বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে শিক্ষকদের জন্য বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট চালু করার ঘোষণা দেন। কিন্তু শিক্ষকদের উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে গিয়ে শিক্ষকদের প্রাপ্ত ইনক্রিমেন্ট কর্তন করে উচ্চতর গ্রেড দিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। এতে শিক্ষক কর্মচারীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। ইনক্রিমেন্ট দিয়ে আবার কর্তন দুঃখজনক ও এক ধরনের প্রতারণা।
শিক্ষকরা বলেন, উচ্চতর গ্রেড পেয়ে গতবছর যা বেতন পেয়েছি তাই বহাল আছে। জুলাইয়ের বেতনে ইনক্রিমেন্ট যোগ হয়নি। উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার পর ৮ম গ্রেডে এমপিও বাবদ যে টাকা পাচ্ছি তার থেকে বেশি টাকা আমার সহকর্মী ৯ম গ্রেডে ইনক্রিমেন্ট পাওয়ার পর পেয়েছেন। অর্থাৎ ৯ম গ্রেডে ৮ম গ্রেডের চেয়ে বেশি বেতন পাচ্ছেন। এটা কোন নিয়ম জানি না।
মানববন্ধনে শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের ইনক্রিমেন্ট বহাল রাখার দাবি জানিয়েছেন। তারা বলছেন, স্কুল কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার পরেও ইনক্রিমেন্ট পেয়েছেন, তাদের মত মাদরাসার শিক্ষকদের উচ্চতর গ্রেড দেয়া হোক।
এদিকে শিক্ষক কর্মচারীদের ইনক্রিমেন্ট বঞ্চিত করার অভিযোগের বিষয়ে জানতে দৈনিক শিক্ষাডটকমের পক্ষ থেকে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কে এম রুহুল আমিনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। মহাপরিচালক ফোন রিসিভ করেননি।
কিন্তু এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধিদপ্তরকে কর্মকর্তারা দৈনিক শিক্ষাডটকমের কাছে দাবি করেন, শিক্ষকদের উচ্চতর গ্রেড বাবদ মেমিস সফটওয়্যারের মাধ্যমে বেশি টাকা দিয়ে দেয়া হয়েছিল। যা সমন্বয় করতে কোন কোন শিক্ষক-কর্মচারী ইনক্রিমেন্ট পাননি।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষা ডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।