ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বদলি নীতিমালায় অন্তর্ভুক্তি দাবি

গৌতম কুমার |

কমিটির অধীনে নিয়োগপ্রাপ্ত নিবন্ধন সনদধারী-সনদবিহীন ও এনটিআরসিএর অধীনে সুপারিশপ্রাপ্ত স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার সকল ইনডেক্সধারী শিক্ষকের জন্য হাইকোর্টের বদলি রায় হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলেছে বদলি রায় পর্যালোচনা করেই বদলির চূড়ান্ত নীতিমালা প্রকাশ করবে কিন্তু তার আগেই তারা খণ্ডিত খসড়া নীতিমালা প্রকাশ করেছে কমিটির অধীনে নিয়োগপ্রাপ্ত ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বাদ দিয়েই যা চরম অমানবিক।

বদলি প্রথা চালুর দাবিতে বদলিপ্রত্যাশী এমপিওভুক্ত ইনডেক্সধারী শিক্ষক কমিটি ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে আন্দোলন করে আসছে। কমিটির অধীনে নিয়োগপ্রাপ্ত হবিগঞ্জ, চাঁদপুর ও কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলায় শিক্ষকদের বেতন আটকে রাখাসহ নানারকম হয়রানি-নিপীড়ন করা হচ্ছে। পদন্নোতি বঞ্চিত হচ্ছেন বহু শিক্ষক।

কুড়িগ্রাম থেকে সিলেটের হাওরাঞ্চলে কর্মরত একজন শিক্ষকের আর্তনাদ-আমরা অনেকেই নিজ জেলা থেকে ৫০০-৮০০ কিলোমিটার দূরে যোগদান করেছিলাম কমিটির অধীনে। কারণ, সেসময় এনটিআরসিএ কর্তৃক প্রদত্ত সার্টিফিকেটের মেয়াদ ৩ বছর করা হয়। আর সার্টিফিকেট বাঁচানোর জন্য ইনডেক্স গ্রহণের নিমিত্তে দূরদূরান্তে পরীক্ষার মাধ্যমে ‘বিনা ঘুষে’ নিয়োগ পেয়ে যোগদান করি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নীতি পরিবর্তনের কারণে আমরা অসহায় লক্ষাধিক বদলি প্রত্যাশী শিক্ষক।

বদলির বিধান না থাকায় কমিটির অধীনে নিয়োগপ্রাপ্ত সারা দেশের স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার ৭১ জন শিক্ষক বদলি প্রথা চালুর দাবিতে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে হাইকোর্টে একটি রীট নং ২৭৯/২০১৯ দাখিল করি এবং হাইকোর্ট শিক্ষকদের পক্ষেই রায় দেয় ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে যার কপি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে অষ্টমবারের মতো পাঠানো হয়েছে স্মারকলিপিসহ।

২০২২ খ্রিষ্টাব্দে এনটিআরসিএ রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করলে আপীল বিভাগ তা খারিজ করে রায় বহাল রাখেন।

হাইকোর্টের রায়ে উল্লেখ আছে পদ খালি থাকা সাপেক্ষে সকল ইনডেক্সধারী শিক্ষককে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের। কান্না জড়িত কন্ঠে চট্টগ্রামে কর্মরত খুলনার এক শিক্ষক বলেন, সকল পেশায় আগে সিনিয়রদের বদলির সুযোগ দেয়া হয়, অথচ আমাদের বেলায় সুযোগ না রেখে শুধু এনটিআরসিএর অধীনে সুপারিশপ্রাপ্তদের সুযোগ দিয়ে  বদলির খসড়া নীতিমালা প্রকাশ করা হয়েছে যা মূলত বৈষম্য।

কমিটির অধীনে নিয়োগপ্রাপ্ত ও এনটিআরসিএর অধীনে সুপারিশপ্রাপ্ত সকল ইনডেক্সধারী শিক্ষককে চূড়ান্ত বদলি নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করার জোর দাবি জানাই। ইনডেক্সধারী সকল শিক্ষকের সর্বজনীন বদলি চাই।

লেখক: সভাপতি, বদলি প্রত্যাশী এমপিওভুক্ত ইন্ডেক্সধারি শিক্ষক কমিটি-বদলি ৭১

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কাল খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শনিবারও চালু ক্লাস - dainik shiksha কাল খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শনিবারও চালু ক্লাস সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি - dainik shiksha সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি - dainik shiksha বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন নয় - dainik shiksha ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন নয় একই স্কুলের দুই ছাত্রীকে বিয়ের পর আরেক ছাত্রীকে ল্যাব সহকারীর অনৈতিক প্রস্তাব - dainik shiksha একই স্কুলের দুই ছাত্রীকে বিয়ের পর আরেক ছাত্রীকে ল্যাব সহকারীর অনৈতিক প্রস্তাব দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0027141571044922