দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক: স্টার্টআপ সংস্কৃতির বিকাশ ও তরুণদের উদ্যোক্তা হতে সহায়তা করতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপন করা হচ্ছে ইউনিভার্সিটি ইনোভেশন হাব। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অধীন ‘ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় ‘স্মার্ট ইউনিবেটর’ শীর্ষক এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এই হাব তৈরি এবং সুষ্ঠুভাবে পরিচালন ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষে মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারের বিএইচটিপিএ সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। এমওইউতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী এবং বংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অধীন ‘ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন’ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আবুল ফালাহ মো. বালিগুর রহমান স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন। পরে স্বাক্ষরিত এমওইউ’র কপি উভয়পক্ষের মধ্যে হস্তান্তর করা হয়।
এমওইউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জি এস এম জাফরুল্লাহ, এনডিসি। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ইনোভেশন হাবের ফোকাল পারসন ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. রামেশ্বর দেবনাথ, একই ডিসিপ্লিনের প্রভাষক সজীব চ্যাটার্জি।
এ ইনোভেশন হাবের মাধ্যমে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাসহ অত্র অঞ্চলের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যেন ভবিষ্যতে সফলতার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে বা উদ্যোক্তা হয়ে নিজে বড় কোম্পানি তৈরি করতে পারে, সেজন্য নানা প্রকারের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের কাছ হতে নতুন নতুন আইডিয়া গ্রহণ করে সমাজের কাজে লাগে এমন পণ্য/সেবা তৈরির সম্ভাবনাময় আইডিয়াগুলো বাছাই করে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। স্টার্টআপ তৈরির এ কার্যক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যুক্ত থাকবেন।
উল্লেখ্য, ইনোভেশন হাবের স্টার্টআপগণ হবেন মূলত প্রি সিড বা সিড পর্যায়ের। এ স্টার্টআপগণ যাতে কিছু ফান্ডিং সুবিধা পেতে পারেন, সেজন্যও কাজ করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় প্রায় তিন হাজার জনকে স্টার্টআপ হতে আগ্রহী করার জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
প্রশিক্ষণ ছাড়াও ইনোভেশন হাবে থ্রিডি প্রিন্টার, ড্রোন তৈরির যন্ত্রপাতি, এআই নিয়ে কাজ করার জন্য কিছু ইকুইপমেন্ট ও সফটওয়ার প্রদান করা হবে। শিক্ষার্থীগণ এ সকল ইক্যুইপমেন্ট ও সফটওয়ার ব্যবহারের মাধ্যমে এ সম্পর্কে বাস্তব জ্ঞান আহরণ করতে পারবেন এবং ওই যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে তাদের নিজস্ব প্রোডাক্ট তৈরি করতে পারবেন। এছাড়াও স্টার্টআপগণ ইনোভেশন হাবকে তাদের অফিস বা ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ স্টার্টআপ কোম্পানির সাথে জড়িত থাকলে তিনিও স্টার্টআপের সফলতার অংশীদার হবেন।