ইবতেদায়ি প্রধানদের ১১ গ্রেডে বেতন দেয়ার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

সারাদেশের মাদরাসার ইবতেদায়ি প্রধানদের সংশোধিত এমপিও নীতিমালা অনুসারে ১১তম গ্রেডে বেতন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাদের ১৫তম গ্রেডের পরিবর্তে ১১তম গ্রেডে বেতন দেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

জানা গেছে, মাদরাসার ইবতেদায়ি প্রধানদের সংশোধিত এমপিও নীতিমালা অনুসারে এমপিও নীতিমালা অনুসারে বর্ধিত গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন না। নীতিমালায় ১১তম গ্রেডে বেতনের কথা বলা হলেও ১৫ গ্রেডে বেতন পেয়ে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। আড়াই বছর আগে জারি হওয়া এমপিও নীতিমালায় তাদের ১১তম গ্রেডে বেতন দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়। নীতিমালা অনুসারে শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন দেয়ার আদেশ জারি হয় এক বছর আগে। তবুও তা বাস্তবায়ন না হয়নি। পরে, মাদরাসার এমপিও নীতিমালা সংশোধন করা হয়। গত ২৩ নভেম্বর মাদরাসার সংশোধিত এমপিও নীতিমালা জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপরও ইবতেদায়ি প্রধানদের বেতন জটিলতা নিরসন হচ্ছিল না। সারাদেশের শিক্ষকরা দৈনিক শিক্ষাডটকমে ইমেইল করে নিজেদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। 

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দেশের শিক্ষা বিষয়ক একমাত্র ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকমে ‘আদেশ জারির বছর পেরোলেও বেতন বাড়েনি ইবতেদায়ি প্রধানদের’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। এর কিছু দিন পরই সংশোধিত নীতিমালা অনুসারে মাদরাসার ইবতেদায়ি প্রধানদের ১১তম গ্রেডে বেতন দেয়ার নির্দেশ দিলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের জারি করা আদেশে বলা হয়েছে, মাদরাসার ইবতেদায়ি প্রধানদের ১৫ গ্রেডের পরিবর্তে ১১ গ্রেডে এমপিও দেয়ার বিষয়ে মাদরাসার সংশোধিত এমপিও নীতিমালা অনুসারে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। 

আরও পড়ুন : আদেশ জারির বছর পেরোলেও বেতন বাড়েনি ইবতেদায়ি প্রধানদের

জানা গেছে, ইবতেদায়ি প্রধানদের বেতন ১১তম গ্রেডে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল আড়াই বছর আগে। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে জারি করা মাদরাসার এমপিও নীতিমালায় ইবতেদায়ি প্রধানদের ১১তম গ্রেডে বেতন দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। ইবতেদায়ি প্রধানদের ১১তম গ্রেডে বেতন দেয়ার আদেশ জারি হয়েছিল ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ২ জানুয়ারি। কিন্তু ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি এসেও ইবতেদায়ি প্রধানরা ১১তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন না। নানা অজুহাতে ইবতেদায়ি প্রধানদের ১১তম গ্রেডে বেতন দেয়া হচ্ছিল না।  সর্বশেষ ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে ইবতেদায়ি প্রধানদের ১১ গ্রেডে বেতন নীতিমালা জারির দিন হতে বকেয়া দেয়া হবে কি না তার স্পষ্টিকরণ কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের কাছে চায় অধিদপ্তর। একইসাথে মাদরাসা শিক্ষকদের উচ্চতর গ্রেড দেয়ার বিষয়ে নির্দেশনা চাওয়া হয়। ইতোমধ্যে মাদরাসা শিক্ষকদের উচ্চতর গ্রেডের আবেদন গ্রহণ শুরু হলেও ইবতেদায়ি প্রধানদের আবেদন নেয়া হচ্ছিল না। এ পরিস্থিতিতে ইবতেদায়ি প্রধানদের ১১তম গ্রেডে বেতন দেয়ার ব্যবস্থা নিতে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

ইবতেদায়ি প্রধানরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, আদেশ জারি আগেও হয়েছিল, কিন্তু আমরা সুবিধা পাইনি। আমাদের ১১তম গ্রেডে দ্রুত এমপিও দেয়ার ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা প্রশাসনকে অনুরোধ করছি। 

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE   করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0027401447296143