ইবতেদায়ি মাদরাসা সরকারিকরণের দাবিতে টানা অবস্থান

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বাংলাদেশ মাদ্রারাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা সরকারিকরণ ঘোষণার দাবিতে টানা অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন মাদরাসা শিক্ষকরা।

রোববার (২২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লবের সামনে আট দিনের মতো এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।

অবস্থান কর্মসূচিতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি কাজী ফয়েজুর রহমান বলেন, প্রতিদিনের মতো আমাদের লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট পালন চলছে। এর আগে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অভিমুখে পদযাত্রাসহ শিক্ষামন্ত্রীর কাছে স্মারক লিপি জমা দিয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অবস্থান ধর্মঘট চলবে।

সমিতির মহাসচিব মোখলেছুর রহমান বলেন, ১৯৭৮ অর্ডিন্যান্স ১৭ (২০) ধারা মোতাবেক মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের শর্ত পূরণ সাপেক্ষে রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত হয়। রেজিস্ট্রেশন হওয়ার পর থেকেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ধারা মোতাবেক সব কাজ পরিচালিত করে আসছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ন্যায় ইবতেদায়ি পঞ্চম শ্রেণি শিক্ষার্থী সমাপনী পরীক্ষায় অংশ ও  প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ন্যায়ে সরকারের সব কাজে অংশগ্রহণ করেন। এক হাজার ৫১৯টি ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকদের মধ্যে সর্বসাকুল্যে প্রধান শিক্ষক আড়াই হাজার ও সহকারী শিক্ষক দুই হাজার ৩০০ টাকা ভাতা পান। বাকি রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত মাদরাসাগুলোর শিক্ষকরা ৩৪ বছর ধরে বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত। যা এ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে অমানবিক, শিক্ষকদের অবমাননা ছাড়া কিছুই না।

এ সময় শিক্ষকদের সাত দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। সাত দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য- প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা মুজিববর্ষে মহাসমাবেশের মাধ্যমে সরকারিকরণের ঘোষণা, কোডবিহীন মাদরাসাগুলোর বোর্ড কর্তৃক কোড নম্বরে অন্তর্ভুক্তকরণ, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা নীতিমালা-২০১৮ সংশোধন করে আলিম শিক্ষক একজনের পরিবর্তে এইচএসসি পাস একজন অন্তর্ভুক্তকরণ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র  ইবতেদায়ি মাদরাসা অফিস সহায়ক নিয়োগ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের পিটিআই ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থাকরণ, মাদরাসায় আসবাবপত্র দেওয়াসহ ভবন নির্মাণ এবং স্থায়ী রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করতে হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025200843811035