ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মফিজ লেকের নাম পরিবর্তন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর নামানুসারে ‘মীর মুগ্ধ সরোবর’ নামকরণ করা হবে। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মুহাম্মদ নসরুল্লাহ সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তবে লেকের নামকরণের ক্ষেত্রে মুগ্ধের নাম ব্যবহারের বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এই নামকরণের বিষয়ে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তবে অনেকেই এই লেকের নাম আন্দোলনে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ অঞ্চলে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের নামে নামকরণের দাবি জানিয়েছেন।
ইসমাইল হোসেন অর্নব নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে কুষ্টিয়াতে দুইজন শহীদ হয়েছিলো। তাদের নামে লেকের নামকরণ করাটা যৌক্তিক। মুগ্ধর নামে ইতোমধ্যে অনেক কিছু হয়েছে। কয়েকটি জায়গার নামও রাখা হয়েছে। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে কারো প্রতি বৈষম্য করা উচিত নয়।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, মীর মুগ্ধ ছিলেন জুলাই বিপ্লবের অগ্রনায়ক। জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করে সামনে যেতে আমাদের মাঝে এই স্প্রিট থাকে সেজন্যই এই নামকরণ। স্থানীয় শহীদদের নামে নামকরণের বিষয়ে তিনি বলেন, আন্দোলনে মুগ্ধর ভূমিকা ছিলো অনস্বীকার্য, তাই আমরা তার নামের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছি।
প্রসঙ্গত, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পূর্ব থেকেই এই স্থানে একটি লেক ছিলো। ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরে লেকটির নামকরণ করা হয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় লেক, সংক্ষেপে ইবি লেক। কিন্তু মফিজ লেক হিসেবে জনপ্রিয়তার পিছনে লোকমুখে কিছু কল্পকাহিনী শোনা যায়। মফিজ নামের এক অজ্ঞাত পাগল প্রেমিক তার প্রিয়তমার প্রতি ভালোবাসার প্রমাণ দিতে অথবা প্রেমে ব্যর্থ হয়ে এই লেকে আত্নহুতি দিয়েছিলো। এরপর থেকেই ক্রমান্বয়ে এই লেকটি মফিজ লেক হিসেবে জনপ্রিয়তা পায়। আবার কেউ বলেন, যারা অযথা প্রেম করে সময় নষ্ট করতো তারা এখানে এসে গল্প করতো। তাদেরকে ব্যঙ্গ করে মফিজ বলাতে এই জায়গাটি মফিজ লেক বলে পরিচিতি পায়।