ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগটির শিক্ষার্থীদের করা অভিযোগ তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
এরআগে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী হেনস্তা, আপত্তিকর মন্তব্য, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনসহ ২৭ দফা অভিযোগ তুলে অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্যের কাছে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করেন তারা। এসময় উপাচার্য তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
গঠিত তদন্ত কমিটিতে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তফা আরীফকে আহ্বায়ক ও সহকারী প্রক্টর ড. খাইরুল ইসলামকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। অন্য সদস্যরা হলেন ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ ও আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ারুল ওহাব। কমিটিকে আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
কমিটি গঠন সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে সংঘটিত শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের লিখিত ও মৌখিক অভিযোগের যথাযথ তদন্ত ও প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদানের লক্ষ্যে প্রক্টোরিয়াল বডি ও ছাত্র উপদেষ্টা সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত সভার সুপারিশের আলোকে উপাচার্য এই কমিটি গঠন করেছেন।
সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের করা অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, কথার অবাধ্য হলে ইন্টারনাল মার্কস কমিয়ে দেওয়া, মেয়েদের শ্রেণিকক্ষে সবার সামনে পোশাক নিয়ে কথা বলা; নর্তকী, পতিতা ও বাজারের মেয়ে বলা, শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ক্লাসে কিংবা সবার সামনে হেনস্তা, ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে মারা ও ছাদ থেকে ফেলে দেয়ার হুমকি, ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করা, ব্যক্তিগত রুমে নিয়ে গিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন, দাড়ি থাকলে শিবির ট্যাগ দিয়ে হেনস্তা, ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য রেজাল্ট খারাপ করে দেওয়া, অন্যান্য শিক্ষকদের নাম নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে অপমান, অপদস্থ এবং চাপ দেয়া।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।