নানা আয়োজনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবসটি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি, শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, আলোচনাসভা ও মোনাজাতের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে ইবি প্রশাসন। র্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরাল চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এরপর ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। পরে একে একে বঙ্গবন্ধু পরিষদ, শাপলা ফোরাম, শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা সমিতি ও ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। এরপর সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ. এম. আলী হাসান, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় ও অন্যান্যরা।
অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, দীর্ঘ সাড়ে নয় মাস বঙ্গবন্ধু তাঁর শেষ জেলজীবন কাটিয়ে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন। এরপর তিনি বিশ্বের শোষিত মানবতার নেতা হিসেবে মুক্ত পৃথিবীর মাঝে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পা রাখেন। এরপর ১০ জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। ব্যক্তিত্বে বঙ্গবন্ধু ছিলেন হিমালয়সম একজন মানুষ। তাঁর সম্মোহনী ও জাদুকরী নেতৃত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পৃথিবীর বুকে উদ্ভূত হয়।