‘আমি ওমানের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে বলছি, আপনি কি করোনার দ্বিতীয় ডোজ নিতে ইচ্ছুক? আমরা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য করোনার দ্বিতীয় ডোজ বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ফ্রিতে দিচ্ছি। যদি আপনি করোনার দ্বিতীয় ডোজ ফ্রিতে দিতে ইচ্ছুক হন, তাহলে আপনার মোবাইলে ওটিপি যাবে সেটা আমাদের বলতে হবে।’ ইমোতে কল দিয়ে ওটিপি নম্বর সংগ্রহের পর প্রবাসী রুহুল আমিনের অ্যাকাউন্ট তাদের দখলে নিয়ে নেন।
ওমান পুলিশ রুহুলকে আটক করেছে বলে স্ত্রী লাইলী বেগমের ইমো অ্যাকাউন্টে মেসেজ দেন তারা। তাকে ছাড়ানোর কথা বলে বিকাশে ৫১ হাজার টাকা নেন। এভাবে তারা ইমো হ্যাকের পর প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিতেন। পরে ঘটনার আলামত নষ্ট করে ফেলতেন। এ ঘটনায় করা মামলায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
চার্জশিটে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিটিটিসির উপপরিদর্শক হোসেন পাটোয়ারী এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন। এ বিষয়ে গতকাল সোমবার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘এ মামলার তদন্ত শেষে তিনজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দিয়েছি। আদালত পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।’
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন চারুকলা বিভাগের ছাত্র শাকিব খান শুভ ও রেজোয়ান ইসলাম মোড়ল। এ ছাড়া রবিন আলী নামে আরেকজনকে আসামি করা হয়েছে। বর্তমানে আসামিরা জামিনে রয়েছেন।
চার্জশিটে বলা হয়েছে, আসামিরা সংঘবদ্ধ চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা অপরাধ সংঘটনের সঙ্গে সঙ্গে সুচতুরভাবে বেশিরভাগ সময় ব্যবহৃত ডিভাইসসহ অন্য আলামত নষ্ট করে ফেলেন। রিমান্ড চলাকালে আসামিরা দোষ স্বীকার করেছেন। তবে আগে থেকে অবগত থাকায় তারা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে অস্বীকার করেন। আলামত নষ্ট করে ফেলায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মুন্সি আমিনুর রহমান বলেন, ‘হ্যাকিং করা সিম আসামিদের থেকে জব্দ করা হয়নি। এ মামলাটিতে আমরা আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করব। চার্জ শুনানিতে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করা হবে।’
সূত্র : কালবেলা