ইসকন নিষিদ্ধ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন এক আইনজীবী। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপক্ষের মতামত জানতে জরুরি ভিত্তিতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে আদালতে ডেকে পাঠানো হয়। বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের হাইকোর্ট বেঞ্চে পত্রিকাসহ আবেদন করেন আইনজীবী। যেখানে গতকালের প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়।
আদালতে এসে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সারা দেশের মানুষের মতো তারও হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। কিন্তু এ বিষয় এখনই কোনো সিদ্ধান্ত যেন আদালত না নেয়। কারণ সরকার ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে। সরকারের কাছে এটি এখন ১ নম্বর এজেন্ডা।
এ সময় হাইকোর্ট বলেন, এরা কারা? এদের পরিচয় কী? আদালত আরও বলেন, চট্টগ্রাম-রংপুরে এসব কী শুরু হয়েছে? এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এ বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে।
পরে হাইকোর্ট বলেন, বিকেলের মধ্যে আমাদের বিস্তারিত জানান। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমাকে একদিন সময় দেন। আগামীকাল এ বিষয়ে জানাব, আজকের মধ্যে সম্ভব হবে না।
পরে হাইকোর্ট বলেন, ঠিক আছে কালকের মধ্যে একটা প্রতিবেদন দেন। তবে কোনোভাবেই যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে, সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় এক আইনজীবী নিহতের ঘটনা ঘটে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ইসকনের অনুসারীরা চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা শুরু করলে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ তাদের বাধা দেন। এরপর তাকে তুলে নিয়ে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীতে রঙ্গম টাওয়ারের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সাইফুলকে কুপিয়ে আহত করে ইসকন সদস্যরা। গুরুতর আহত অবস্থায় সাইফুলকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।