ইসরায়েলবিরোধীদের বাধা ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ অঙ্গরাজ্যটির অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় গতকাল শুক্রবার স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান হয়েছে। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরোধিতাকারী বিক্ষোভকারীরা সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিঘ্ন ঘটাননি। ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক মাসগুলোয় ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ হতে দেখা গেছে।
গতকাল লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, স্নাতক শিক্ষাসমাপনী অনুষ্ঠানগুলো ছিল ‘হৃদয়স্পর্শী’। এককথায় সুন্দর।
লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের লাসকিন স্কুল অব পাবলিক অ্যাফেয়ার্সে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্নাতক সম্পন্নকারী কয়েকজনকে কেফিয়েহ স্কার্ফ পরতে দেখা গেছে। এ স্কার্ফ ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
সংবাদপত্রটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শান্তিপূর্ণভাবে লাসকিনের অনুষ্ঠান বর্জন করে কয়েকজন স্নাতক সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীকে বের হয়ে যেতে দেখা গেছে। সব মিলে সেখানকার আয়োজন বেশ উৎসবমুখর ছিল।
সাম্প্রতিক মাসগুলোয় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ চলাকালে মাঝেমধ্যে সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের তাঁবুগুলো ভেঙে দিতে গিয়ে অনেককে গ্রেপ্তার করেছে। কয়েক সপ্তাহ আগে লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তাঁবু খাঁটিয়ে বিক্ষোভ করা ফিলিস্তিনপন্থীদের ওপর উগ্র ইসরায়েল-সমর্থকদের হামলা হয়।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের আরও দাবি, যুক্তরাষ্ট্র যেন ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়া এবং ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষ সুবিধা নেওয়া বন্ধ করে।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। ইসরায়েলের হিসাব অনুসারে, এ হামলায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হন। জিম্মি করা হয় ২৫০ জনকে। এর জবাবে সেদিন থেকেই গাজা উপত্যকায় নারকীয় হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল।
গাজায় ইসরায়েলের আট মাসের তাণ্ডবে ৩৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ হিসাব দিয়েছে। যুদ্ধের কারণে গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার প্রায় সবাই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।