ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার পরও স্কুলে অনুপস্থিত শিক্ষকরা

দৈনিক শিক্ষাডটকম, পটুয়াখালী |

পটুয়াখালীর দশমিনায় ঈদুল আজহার সরকারি ছুটি শেষ হওয়ার পরও গত বুধবার পর্যন্ত একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের উপস্থিতি ছিল না। বিদ্যালয়ের শ্রেণী ও অফিস কক্ষে তালা দেয়া ছিল। ঘটনাটি উপজেলার চরবোরহান ইউনিয়নের ১৪৩নং চরশাহজালাল আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। জানা যায়, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি ছুটি গত ১৩ জুন থেকে গত ২ জুলাই পর্যন্ত ছিল। সরকারি নির্দেশনা অনুসারে গত ৩ জুলাই থেকে উপজেলায় সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার কথা থাকলেও, উপজেলার চরবোরহান ইউনিয়নের ১৪৩নং চরশাহজালাল আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষ ও অফিস কক্ষ তালা ঝোলানো ছিল। কোনো শিক্ষককে স্কুলে পাওয়া যায়নি।

ওই বিদ্যালয়ে মোট ৪ জন শিক্ষক রয়েছেন। প্রধান শিক্ষক মো. আবুল হাসেম এবং সহকারি শিক্ষক মো. মাসুম বিল্লাহ, নারভীর হাসান ও ওয়ালিউল্লাহ। বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা স্থানীয় দোকানদার মো. শামসুল হক বলেন, সকালে ছাত্রছাত্রী আসছিল বিদ্যালয়ে কোন শিক্ষক না আসায় এবং শ্রেণী কক্ষ তালা মারা ছিল। আমার দোকানে ছাত্রছাত্রীরা কিছু খেয়ে চলে যায়। আগে শিক্ষকরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসতেন। তখন বিদ্যালয়টিতে নিয়মিত ক্লাস চলতো। এখন শিক্ষকরা কখন আসেন আর কখন চলে যান কিছুই বুঝতে পারি না। বিদ্যালয়টি এখন প্রায় সময়ই বন্ধ থাকে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি আবদুর রাজ্জাক বলেন, আপনারা তো দেখলেন। এখন দুপুর হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষকই বিদ্যালয়ে আসেননি। শ্রেণীকক্ষ তালা মারা রয়েছে। কিছু ছাত্রছাত্রী এসে চলে গেছে। এই বিদ্যালয় কখন খোলেন আর কখন বন্ধ করেন তা তারাই জানে। তাদের খেয়াল- খুশির ওপরই সবকিছু নির্ভর করছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে ১৪৩নং চরশাহজালাল আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল হাসেমের মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি বলেন, আমার বাড়ি চরবোরহান ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। বিদ্যালয়ে আসতে আসতে ১০৫ মিনিট সময় লাগে। আমি সকালে পরিবার-পরিজন নিয়ে চরের বাড়িতে এসেছি। শিক্ষকদের বলেছি আমার আসতে দেরি হবে, আপনারা বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। পরে আর ফোন করিনি। দশমিনা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হিটলারুজ্জামানের মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি বলেন, আমি ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছি। এই ব্যাপারে পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ - dainik shiksha ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! - dainik shiksha সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! - dainik shiksha নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস - dainik shiksha এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0028769969940186