ঈদের বাজার : মসলার দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ২২ জুন প্রতিকেজি জিরা সর্বনিম্ন ৩৮০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর বর্তমানে ৮৫০ টাকা কেজি জিরা বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে জিরার দাম বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি।

কোরবানির ঈদের আগে অন্যান্য মসলাও স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে। দেশি পেঁয়াজ, রসুন, শুকনা মরিচ, হলুদ, আদা, দারুচিনিসহ বেশির ভাগ মসলার দাম বেড়েছে। তার মধ্যে ক্ষেত্রভেদে আদা ও রসুনের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। শনিবার (২৪ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মসলার দাম বাড়ায় কোরবানির ঈদে মানুষের ওপর চাপ আরও বাড়বে।

মিয়ানমার, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার আদা মানভেদে পাইকারি দাম ১২০ থেকে ২৫০ টাকা। আর তা খুচরায় প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। অথচ টিসিবি বলছে, এক বছর আগেও এসব আদা ৬০ থেকে ১০০ টাকা দরে খুচরায় বিক্রি হয়েছে।

বেড়েছে শুকনা মরিচের দামও। এক বছর আগে দেশি শুকনা মরিচ যেখানে ২২০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেই মরিচ ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে আরও বাড়তি দামে ৩৮০ টাকা কেজি। খুচরা বাজারে বিদেশি শুকনা মরিচ ৪৮০ টাকা দাম হাঁকাতেও দেখা গেছে।

এর মধ্যে ভারতীয় পেঁয়াজ মানুষের নাগালের মধ্যে এসেছে। তবে দেশি পেঁয়াজের জন্য এখনো বাড়তি দাম গুনতে হচ্ছে। খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। টিসিবির হিসাবে তার এক বছর আগে দেশি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।

দেশি রসুন ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক বছর আগে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ২২ জুন টিসিবির হিসাবে দেশি রসুন বিক্রি হয় সর্বনিম্ন ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৮০ টাকায়। অর্থাৎ ক্ষেত্রভেদে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে রসুনের দামও। 

প্রতি কেজি ধনিয়া ১৬৫ থেকে ২২০ টাকায়, লবঙ্গ ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায় এবং দারুচিনি ৪১০ থেকে ৪৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর টিসিবির হিসাবে বছরখানেক আগে ধনিয়া ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়, লবঙ্গ ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় এবং দারুচিনি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
পুলিশ ভেরিফিকেশনে রাজনৈতিক পরিচয় না দেখার সুপারিশ - dainik shiksha পুলিশ ভেরিফিকেশনে রাজনৈতিক পরিচয় না দেখার সুপারিশ সড়ক-রেলপথ ছাড়লেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha সড়ক-রেলপথ ছাড়লেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা ফেসবুকে সতর্কবার্তা দিলেন সারজিস আলম - dainik shiksha ফেসবুকে সতর্কবার্তা দিলেন সারজিস আলম আওয়ামী আমলে শত কোটি টাকা লুট শিক্ষা প্রকৌশলের চট্টগ্রাম দপ্তরে - dainik shiksha আওয়ামী আমলে শত কোটি টাকা লুট শিক্ষা প্রকৌশলের চট্টগ্রাম দপ্তরে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে কমিটি গঠন করা হয়েছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে কমিটি গঠন করা হয়েছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটির তালিকা - dainik shiksha শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটির তালিকা ছাত্ররা রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবে কি না জনগণ নির্ধারণ করবে - dainik shiksha ছাত্ররা রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবে কি না জনগণ নির্ধারণ করবে কুয়েটে ভর্তি আবেদন শুরু ৪ ডিসেম্বর, পরীক্ষা ১১ জানুয়ারি - dainik shiksha কুয়েটে ভর্তি আবেদন শুরু ৪ ডিসেম্বর, পরীক্ষা ১১ জানুয়ারি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0036149024963379